ধর্মনগরে রাজনৈতিক অস্থিরতা তুঙ্গে, সংঘর্ষে আহত সিপিআই(এম) নেতাসহ একাধিক কর্মী
ধর্মনগর (ত্রিপুরা), ২৬ নভেম্বর (হি.স.) বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয় উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর শহর। পরপর তিনটি রাজনৈতিক দলে মিছিল, পথ অবরোধ ও সংঘর্ষে কার্যত অচল হয়ে পড়ে শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলা কংগ্রেস ভবনে নাশকতার অভিযোগ
বিক্ষোভ


ধর্মনগর (ত্রিপুরা), ২৬ নভেম্বর (হি.স.) বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয় উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর শহর। পরপর তিনটি রাজনৈতিক দলে মিছিল, পথ অবরোধ ও সংঘর্ষে কার্যত অচল হয়ে পড়ে শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলা কংগ্রেস ভবনে নাশকতার অভিযোগ এবং এবিভিপি নেতার উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল রূপ নেয়।

সকালে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে কংগ্রেস কর্মীরা ভবনের সামনে পথ অবরোধে বসেন। পুলিশের আশ্বাস—দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে—মিলতেই অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।

এর অল্প কিছুক্ষণ পরেই এবিভিপি-এর কর্মীরা রাস্তায় বসে প্রতিবাদে সামিল হন। তাদের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে এবিভিপি নেতা অনিকেত দেবের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।

অন্যদিকে, সিপিআই(এম)-এর পক্ষ থেকেও ধর্মনগর পার্টি অফিস থেকে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। জেলা শাসকের অফিসের নিচে পথসভা চলাকালীন কালীদিঘির দিক থেকে বিজেপি-এর একটি মিছিল এগিয়ে আসে। দুই দলের সমর্থকরা মুখোমুখি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

অভিযোগ, এরপরই বিজেপি কর্মীরা সিপিআই(এম)-এর মিছিলে হামলা চালায়। হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কিতে গুরুতর আহত হন সিপিএম রাজ্য নেতা অমিতাভ দত্ত এবং জেলা নেতা রতন রায়সহ একাধিক কর্মী। বর্তমানে তাঁরা ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কমল দেববর্মা, এসডিপিও জয়ন্ত কর্মকার এবং জেলা পুলিশ সুপার অবিনাশ রাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী।

জেলা কংগ্রেস সভাপতি দিগ্বিজয় চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, “বিজেপি কর্মীরা কংগ্রেস ভবনে ঢুকে ভাঙচুর করেছে এবং কর্মীদের মারধর করেছে—সবই পুলিশের সামনেই ঘটেছে।” তিনি পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

একদিনে কংগ্রেস, এবিভিপি, সিপিআই(এম) ও বিজেপির পৃথক মিছিল এবং পথ অবরোধের জেরে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় গোটা ধর্মনগরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

রাজনৈতিক উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আশঙ্কা বাড়ছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালালেও রাজনৈতিক সংঘর্ষে জনমনে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande