
ঝাড়গ্রাম, ৮ নভেম্বর (হি.স.) : গোপীবল্লভপুরে শিশু কন্যা হত্যার চেষ্টার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াতেই নড়েচড়ে বসল ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন। শনিবার সকালেই জেলা শাসক আকাঙ্খা ভাস্কর এবং মহকুমা শাসক অনিন্দিতা রায় চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। দুই আধিকারিক সরাসরি গ্রামের মহিলাদের, কন্যাশ্রী কন্যাদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের মধ্যে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেন।
জেলা শাসক আকাঙ্খা ভাস্কর এদিন গ্রামের মেয়েদের সঙ্গে সেলফি তোলেন, তাঁদের সঙ্গে প্রাণবন্ত আলাপচারিতায় অংশ নেন। বাল্যবিবাহ, কিশোরী গর্ভাবস্থা, কন্যা শিশু হত্যা—এই ধরনের সামাজিক অপরাধের ক্ষতিকর দিকগুলি নিয়ে সচেতন করেন জেলা ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
জেলা শাসক বলেন, “আমরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে এসেছিলাম। এই গ্রামের মেয়েরা যথেষ্ট সচেতন। আশা করি এমন ঘটনা আর ঘটবে না। এরা নিজেদের লড়াই নিজেরাই লড়ে নেবে—আমাদের শুধু একটু পাশে থাকতে হবে। এদের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।”
এদিনের সচেতনতা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর, মহকুমা শাসক অনিন্দিতা রায় চৌধুরী, জেলা পুলিশের ডিসিপি (হেডকোয়ার্টার) সমীর অধিকারী, বিডিও রাহুল বিশ্বাস, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডা. খগেন্দ্রনাথ মাহাতো, নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু, বেলিয়াবেড়া থানার ওসি নিলু মণ্ডল, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ টিংকু পাল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শর্বরী অধিকারী ও সমাজসেবী স্বপন পাত্রসহ প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বেলিয়াবেড়া থানা এলাকার এক গ্রামে মাত্র আটদিনের এক কন্যা শিশুকে দুধে কীটনাশক মিশিয়ে খাওয়ানোর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ঠাকুমাকে গ্রেফতার করে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো