দুর্নীতির চারণভূমি বজায় রাখতে চায় ‘নীতিহীন রাজনৈতিক শক্তি’, কটাক্ষ জিষ্ণু বসুর
অশোক সেনগুপ্ত কলকাতা, ৮ নভেম্বর, (হি.স.): তৃণমূলের নাম না করে রাজ্যের শাসক দলকে ‘নীতিহীন রাজনৈতিক শক্তি’ বলে কটাক্ষ করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘর (আরএসএস) পূর্বক্ষেত্রীয় সহ প্রচারপ্রমুখ ডঃ জিষ্ণু বসু। তাঁর মতে, এদের কাজ হল যত রকম চুরি করে, যে কো
ডঃ জিষ্ণু বসু


ডঃ জিষ্ণু বসু


অশোক সেনগুপ্ত

কলকাতা, ৮ নভেম্বর, (হি.স.): তৃণমূলের নাম না করে রাজ্যের শাসক দলকে ‘নীতিহীন রাজনৈতিক শক্তি’ বলে কটাক্ষ করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘর (আরএসএস) পূর্বক্ষেত্রীয় সহ প্রচারপ্রমুখ ডঃ জিষ্ণু বসু। তাঁর মতে, এদের কাজ হল যত রকম চুরি করে, যে কোনও মূল্যে ক্ষমতায় টিঁকে থাকা। দুর্নীতির চারণভূমি বজায় রাখা।

শনিবার আরএসএস-এর শারদ সম্মেলনে সংবাদমাধ্যম ও সংগঠনের আমন্ত্রিতদের সামনে তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক শক্তি তিনটি মূল স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে। তার প্রথমটা এই ‘নীতিহীন রাজনীতির স্তম্ভ’। অভীষ্ঠ লক্ষ্যপূরণের জন্য এরা সংবাদমাধ্যমকে টাকা দিতেও প্রস্তুত।

সংবাদমাধ্যমের একটা বড় অংশ প্রস্তুত এই সুযোগ নিতে।

নীতিহীন এই দল এবং নেতৃবৃন্দ আমদানি করেছে কর্পোরেট সংস্কৃতি। এদের আদর্শ বলে কিছু নেই। বামপন্থীরাও বিশ্বাস করে একদিন বিশ্বজুড়ে তৈরি হবে যৌথ খামার। সিপিআইএমএল দলের কোনও নেতা একঘন্টা ধরে নিজেদের আদর্শের কথা বলতে পারবে। কিন্তু নীতিহীনরা পারবে না। এই আমলে সাংবাদিক প্রহৃত হলেও পুলিশ চোখ বুঁজে থাকে।

জিষ্ণুবাবু বলেন, বাম আমলেও সমাজের একটা চরিত্রগত পরিবর্তন হয়েছিল। আশৈশব দেখে আসা পারিপার্শ্বিক কাঠামো ভেঙে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে বাঙালির আত্মসম্মানবোধের কাঠামো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক পরিকাঠামোয় এসে গিয়েছে ‘মেটামরফোসিস’-এর প্রশ্ন। যে সততা নষ্ট হয়ে গেল তা আর ফিরে আসবে না।

এই নীতিহীন শক্তির মতই ভয়াবহ জেহাদি শক্তি। জিষ্ণুবাবু বলেন, “ওরা বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মুছে দিয়েছে। মাতৃভাষা দিবস অর্থাৎ ২১শের স্মৃতি মনে রাখতে চায় না। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বঙ্কিম বিদ্যাসাগরও ওদের কাছে ব্রাত্য”।

সাংস্কৃতিক মার্কসবাদকে ‘রাজনীতির তৃতীয় শক্তি’ বলে চিহ্ণিত করেন জিষ্ণুবাবু। এ বিষয় আলোচনা করতে গিয়ে প্রায় ফি সপ্তাহে দৈনিকে বিশেষ ভাবনার উত্তর সম্পাদকীয়,

এলজিবিটিকিউআইএ (Lesbian, Gay, Bisexual, Transgender, Queer or Questioning, Intersex, and Asexual), এ প্রসঙ্গে যাদবপুরের ছাত্রাবাসে পড়ুয়ার হইচই ফেলে দেওয়া আত্মহনন, প্রভৃতির উল্লেখ করেন তিনি।

জিষ্ণুবাবু বলেন, এই সাংস্কৃতিক মার্কসবাদ অর্থাৎ কালচারাল মার্ক্সইজম বাঙালির ভাবনা নষ্ট করে দিতে চায়। ওই মতাবলম্বীরা চায়, রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ থাকবে না। কিন্তু আমি বলছি রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ থাকবে। সেই সঙ্গে ফিরে পাব শ্যামাপ্রসাদ-বিদ্যাসাগর-নজরুলের বাংলা। সেই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি।

জিষ্ণুবাবুর এই বক্তব্যের রেশ ধরে পূর্বাঞ্চল কল্যাণ আশ্রমের এই মিলনসভায় (বিলম্বিত বিজয়া সম্মিলনী) আরএসএস-এর প্রান্ত প্রচারপ্রমুখ বিপ্লব রায় বলেন, স্বদেশী সমাজ’-এ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘নায়ক’-এর উপযোগিতার কথা লিখেছেন। সেটা মাথায় রেখে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

এদিন মঞ্চে ছিলেন আরএসএস-এর স্তম্ভলেখক-প্রমুখ ডঃ শিবাজী ভট্টাচার্য, প্রবীন সাংবাদিক রথীন্দ্রমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাঙ্ক নাটক, মানস চক্রবর্তীর পরিবেশনায় রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘ওই ভুবন মনমোহিনী’, উপস্থিত সাংবাদিকদের পরিচয়পর্ব।

‘স্বস্তিকা’-র সহ সম্পাদক সুকেশ দাস ওই পত্রিকার উদ্ভব ও বিকাশপর্বের সংক্ষিপ্ত আনুপূর্বিক বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, “এখনও এই পত্রিকা সাধু ভাষায় লেখা হয় শুদ্ধ বাংলা ভাষা লেখার চেষ্টা করি আমরা”। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ওই পত্রিকার সম্পাদক তিলকরঞ্জন বেরা ও সংগঠনের কিছু ভারপ্রাপ্ত কার্যকর্তা ও সাংবাদিক।

শুক্রবার দেশের নানা স্থানে শ্রদ্ধার সঙ্গে

‘বন্দেমাতরম’ গানের বছরব্যাপী সার্ধশতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানশেষে ‘বন্দেমাতরম’ পরিবেশন করেন

আরএসএস-এর সহ প্রান্ত প্রচারপ্রমুখ শিবেন্দ্র ত্রিপাঠী। ৩৫ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই গান পরিবেশন করছেন।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande