
।। রাজীব দে ।।
ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর (হি.স.) : পানাম গ্রুপের আশুলিয়া ফ্যাক্টরির ‘বার্ষিক আনন্দ উৎসব-২০২৬’ উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার সাভারের আশুলিয়ার খেজুর বাগানের স্বপ্নপুরী উঠানে আনন্দোল্লাসের সাথে উদযাপিত হয়েছে।
‘বার্ষিক আনন্দ উৎসব-২০২৬’-এর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন পানাম গ্রুপ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমল পোদ্দার, ইডি বলরাম রায়চৌধুরী, ইডি এনামুল হক সহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
পানাম গ্রুপের এমডি অমল পোদ্দার বলেন, আমরা বার্ষিক আনন্দ উৎসব পালন করি মূলত সারা বছর শ্রমিকরা কারখানায় কাজ করেন। নতুন বছরে তাঁরা যেন আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। তাই তাঁদের যেন কাজের প্রতি আগ্রহ থাকে। কারখানার সকল শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের জন্য প্রতিবছর এই আনন্দ উৎসব-এর আয়োজন করে থাকি।
অনুষ্ঠানে আগত চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এ স্কলারশিপ নিয়ে অধ্যয়নরত আফরোজা আক্তার নীলা বলেন, আমি পানাম গ্রুপে কোয়ালিটি ইনস্পেক্টর হিসেবে চাকরি করতাম। বর্তমানে আমার লেখাপড়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছেন পানাম গ্রুপের এমডি অমল পোদ্দার। বর্তমানে পানাম গ্রুপে চাকরি না করে ও আমাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন তারা। যতদিন আমাদের লেখাপড়া শেষ না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের লেখাপড়া চালিয়ে যাবে। আমি চাকরি না করার পরও প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে আমাকে বেতন দিচ্ছে এবং আমার সম্পূর্ণ লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছে। তার জন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
শেরপুরের সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমি পানাম গ্রুপে জুনিয়র কোয়ালিটি ইনস্পেক্টর হিসেবে চাকরি করতাম। বর্তমানে আমার লেখাপড়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছে পানাম গ্রুপ। আমি বর্তমানে পানাম গ্রুপে চাকরি না করেও আমার লেখাপড়ার খরচ বহন করছে বাংলাদেশের স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠান পানাম গ্রুপ। যতদিন আমার লেখাপড়া শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত আমার লেখাপড়া চালিয়ে যাবে। আমি চাকরি না করার পরও প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে আমার বেতন দিচ্ছে এবং সম্পূর্ণ লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছে। আমি পানাম গ্রুপের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ও এমডি স্যারের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
অনুষ্ঠানে পানাম গ্রুপ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্চে আফরোজা এবং নীলা, দুজনকে পানাম গ্রুপের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মানিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, আজ সকাল ৯.০০টায় কুরআন ও গীতা পাঠের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শুরু হয়। সকাল ১০টায় কারখানার সকল অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। মধ্যাহ্ন ভোজন এবং প্রার্থনার বিরতি দেওয়া হয়। সকালবেলা অনুষ্ঠানের শুরুতে পানাম গ্রুপের আশুলিয়া ফ্যাক্টরির সাড়ে আট হাজার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকগণ এবং আগত অতিথিদের সকাল ৮.০০টায় জলপান ও বেলা ২.০০টায় খাবার পরিবেশন করা হয়।
অপরাহ্ন ৩.০০টায় আমন্ত্রিত শিল্পী এবং ব্র্যান্ড শিল্পীদের নিয়ে ডিজে কর্তৃক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। কারখানার ফায়ার সেফটি গ্রুপকে রানার্স আপ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় র্যা ফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টায় জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপন হয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস