বিচার ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তর, রাজ্যসভায় তথ্য পেশ অর্জুনরাম মেঘওয়ালের
নয়াদিল্লি, ১১ ডিসেম্বর (হি.স.) : সরকার ই-কোর্টস প্রজেক্ট তৃতীয় পর্যায়ের রূপান্তর করছে। এর জন্য চার বছরে খরচ হবে ৭,২১০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪-এ ৭৬৮.২৫ কোটি এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০২৯.১১ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল। বর্তমান অর্থবছর ২০২৫২-২৬-এ ৯০৭.৯৭ কোটি টা
সংসদ


নয়াদিল্লি, ১১ ডিসেম্বর (হি.স.) : সরকার ই-কোর্টস প্রজেক্ট তৃতীয় পর্যায়ের রূপান্তর করছে। এর জন্য চার বছরে খরচ হবে ৭,২১০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪-এ ৭৬৮.২৫ কোটি এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০২৯.১১ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল। বর্তমান অর্থবছর ২০২৫২-২৬-এ ৯০৭.৯৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

ই-কোর্টস প্রজেক্ট তৃতীয় পর্যায়ের লক্ষ্য পূর্বেকার এবং চলতি মামলাগুলির নথি ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে ভারতীয় আদালতগুলিকে ডিজিটাল এবং কাগজবিহীন আদালতে রূপান্তর করা। সব আদালত, কারাগার এবং নির্দিষ্ট কিছু হাসপাতালে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সুযোগ করে দেওয়া এবং অনলাইন আদালতের সুযোগ তৈরি করা। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ই-সেবা কেন্দ্রের পূর্ণ সদ্ব্যবহার, ডিজিটাইজকৃত আদালতের নথি এবং আবেদনগুলির জন্য অত্যাধুনিক ক্লাউড ভিত্তিক তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা এবং মামলার বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাসের জন্য এআই এবং অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (ওসিআর) বহাল করা। ডিজিটাল কোর্টস ২.১ প্ল্যাটফর্ম বিচারপতিদের সুযোগ করে দেয় মামলা সংক্রান্ত সব নথি, শুনানি এবং সাক্ষ্য পাওয়ার, ফলে কাগজবিহীন আদালত ব্যবস্থার লক্ষ্যে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

ই-কোর্টস প্রজেক্টের তৃতীয় পর্যায়ের নিম্নলিখিত কয়েকটি সুবিধা -

১. ৯৯.৫ শতাংশ আদালত যুক্ত হয়েছে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের সঙ্গে।

২. কেস ইনফর্মেশন সিস্টেম (সিআইএস) ৪.০ রূপায়িত হয়েছে সব আদালতে।

৩. তাৎক্ষণিক ডিজিটাল পরিষেবার সম্প্রসারণ হয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ৪ লক্ষের বেশি এসএমএস এবং ৬ লক্ষের বেশি ইমেল হচ্ছে প্রতিদিন। ই-কোর্টস পোর্টালে দৈনিক ৩৫ লক্ষ হিট হচ্ছে। আদালতগুলি ১৪ কোটির বেশি এসএমএস পাঠিয়েছে মামলাকারী এবং আইনজীবীদের।

৪. ৩০.০৯.২০২৫ পর্যন্ত ২৯টি ভার্চুয়াল কোর্ট স্থাপিত হয়েছে।

৫. ই-কোর্টস সার্ভিসেস মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করেছে ৩.৩৮ কোটি মানুষ। এতে আইনজীবী এবং মামলাকারীরা মামলা ও শুনানির দিন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পেয়ে যাচ্ছেন।

৬. জাস্টিস অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন ২১,৯৫৫ জন।

৭. হাইকোর্টগুলি ২২৪.৬৬ কোটি পৃষ্ঠা এবং জেলা আদালতগুলি ৩৫৪.৮৭ কোটি পৃষ্ঠার নথি ইতিমধ্যেই ডিজিটাইজ করেছে।

৮. ৩,২৪০টি আদালত এবং ১,২৭২টি কারাগারে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ৩০.০৯.২০২৫ পর্যন্ত ৩.৮১ কোটি অনলাইন শুনানি হয়েছে।

৯. ১১টি হাইকোর্টে কাজকর্মের লাইভস্ট্রিমিং-এর ব্যবস্থা আছে।

১০. ৫,১৮৭টি আদালত ই-ফাইলিং পোর্টালে যুক্ত। ৩০.০৯.২০২৫ পর্যন্ত ৯২.০৮ লক্ষ মামলার ই-ফাইল হয়েছে।

১১. ই-পেমেন্টস ব্যবস্থায় কোর্ট ফি বাবদ ১,২১৫.৯৮ কোটি টাকার ৪৯.২ লক্ষ লেনদেন এবং জরিমানা বাবদ ৬১.৯৭ কোটি টাকার ৪.৮৬ লক্ষ লেনদেন হয়েছে।

১২. ১,৯৮৭টি ই-সেবা কেন্দ্র কার্যকর।

১৩. ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যান্ড ট্র্যাকিং অফ ইলেক্ট্রনিক্স প্রসেসেস (এনএসটিইপি) ব্যবস্থায় কোর্টগুলি ৬.২১ কোটি ই-প্রসেস করেছে।

১৪. জাজমেন্ট সার্চ পোর্টালে আছে ১.৬৯ কোটি রায়।

১৫. এস.৩ডব্লু.এ.এ.এস. প্ল্যাটফর্মে আছে ৭৩০টি জেলা আদালত ওয়েবসাইট।

১৬. আদালতকে কাগজহীন করে তুলতে ডিজিটাল কোর্টস ২.১ অ্যাপের পরীক্ষা চলছে।

এছাড়া ইন্টার অপারেবল ক্রিমিন্যাল জাস্টিস সিস্টেম (আইসিজেএস)-এ ২০২৫-এ ন্যায় শ্রুতি অ্যাপ চালু হয়েছে। ই-সাক্ষ্য প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে সাক্ষ্যের ডিজিটাল রেকর্ডিং শুরু হয়েছে।

অনেকটাই অগ্রগতি হলেও ডিজিটাল রূপান্তর কার্যকরী করতে কিছু সমস্যাও এখনও রয়ে গেছে। তার মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যেমন – বিচারক, আদালতকর্মী, আইনজীবী এবং সংশ্লিষ্ট অন্য পক্ষদের প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা কর্মসূচি। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে বিশেষ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সংস্থান রাখা হয়েছে।

আজ রাজ্যসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন আইন ও বিচার মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল।

এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো।

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande