আইআইটি খড়্গপুরের ড. বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায় পেলেন ইএমবিও গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটর সম্মান
খড়্গপুর, ১১ ডিসেম্বর (হি.স.) : জীববিজ্ঞান গবেষণায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এর মাধ্যমে বাংলা তথা দেশের মুকুটে যুক্ত হলো আরও একটি পালক। আইআইটি খড়্গপুরের স্কুল অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এসএমএসটি) বরিষ্ঠ ফ্যাকাল্টি ড. বুধাদিত্য মুখোপাধ্য
আইআইটি খড়্গপুরের ড. বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায় পেলেন ইএমবিও গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটর সম্মান


খড়্গপুর, ১১ ডিসেম্বর (হি.স.) : জীববিজ্ঞান গবেষণায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এর মাধ্যমে বাংলা তথা দেশের মুকুটে যুক্ত হলো আরও একটি পালক। আইআইটি খড়্গপুরের স্কুল অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এসএমএসটি) বরিষ্ঠ ফ্যাকাল্টি ড. বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায়কে ইউরোপিয়ান মলিকিউলার বায়োলজি অর্গানাইজেশন (ইএমবিও)-এর গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটর হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ১২ জন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীর মধ্যে স্থান পেয়েছেন তিনি। তাঁর নির্বাচিত হওয়া ভারতের জীবন বিজ্ঞান গবেষণাকে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করেছে।

কীভাবে ওষুধের চাপ লিশম্যানিয়া পরজীবীর সংক্রমণের শক্তি, প্রকৃতি এবং গতিপথকে প্রভাবিত করে, ডঃ বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায়ের গবেষণা সেই জটিল প্রক্রিয়া উন্মোচন করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর কাজ ভবিষ্যতে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স ও প্যাথোজেন–হোস্ট ইন্টারঅ্যাকশন বোঝার ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাবে।

একজন গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটর হিসেবে ডঃ বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায় সংযুক্ত হলেন বিশ্বব্যাপী ৮০০ জনেরও বেশি শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নেটওয়ার্ক এর সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে যৌথ কর্মসূচি, প্রশিক্ষণের সুযোগ এবং গবেষণাভিত্তিক ভ্রমণের জন্য আর্থিক সহায়তা থেকে উপকৃত হবেন তিনি।

এ বছর ভারত, চিলি, নাইজেরিয়া, সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানের বিজ্ঞানীরা নির্বাচিত হয়েছেন। কৃষিতে খরা–সহনশীলতা থেকে সামুদ্রিক জীবের (শৈল কোরাল) জিন নিয়ন্ত্রণ, বিস্তৃত ক্ষেত্র জুড়ে রয়েছে তাঁদের কাজ।

ইএমবিও–র ডিরেক্টর ফিওনা ওয়াট বলেন, নির্বাচিত বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বব্যাপী জীবন বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নতুন শক্তি সঞ্চার করবে।

আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর প্রফেসর সুমন চক্রবর্তী জানান, ডঃ বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায়ের নির্বাচিত হওয়া এই প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। জীববিজ্ঞানে সংক্রামক রোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর অভিনব কাজ বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক অগ্রাধিকারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আমি নিশ্চিত যে তাঁর গবেষণা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের বিজ্ঞান বিষয়ে উপস্থিতি আরও দৃঢ় করবে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌমি বৈদ্য




 

 rajesh pande