
ইটানগর, ১৪ ডিসেম্বর (হি.স.) : গত ৮ ডিসেম্বর অরুণাচল প্ৰদেশের আনজাও জেলার অন্তর্গত ভারত-চীন সীমান্তের কাছে হাই-অল্টিটিউড ভূখণ্ডে অবস্থিত হায়ুলিয়াং-চাগলাগাম সরু পাহাড়ি রাস্তায় সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় অসমের ২১ জন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় আরও এক ঠিকদারকে গ্রেফতার করেছে অরুণাচল প্রদেশের পুলিশ।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ইতিমধ্যে সিরাজুল আহমেদ নামের এক ঠিকাদারকে গ্রেফতার করেছে। এবার আরেক ঠিকাদার সাইরুদ্দিন আলিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।০আজ রবিবার পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিক জানান, অরুণাচল প্রদেশের ভারত-চীন সীমান্তবৰ্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তা ও অন্যান্য নির্মাণকাজের জন্য তিনসুকিয়া জেলার অন্তর্গত গেলাপুখুরি চা বাগান থেকে শ্রমিক নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দুর্গম সরু রাস্তা দিয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে যাতায়াতে কোনও ধরনের সতর্কতা অবলম্বন না করে বেপরোয়াভাবে শ্রমিকদের আনা-নেওয়া করতেন সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদাররা। তাই চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে আপাতত এই দুই ঠিকাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ অফিসার জানান, দ্রততার সঙ্গে ঘটনার তদন্ত চলছে। তিনি জানান, উভয়কে জেরার ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর আনজাও জেলার অন্তর্গত ভারত-চীন সীমান্তের কাছে উচ্চ-উচ্চতায় অবস্থিত হায়ুলিয়াং-চাগলাগাম সরু পাহাড়ি রাস্তা থেকে ২২ জন শ্ৰমিকবাহী একটি ট্রাক প্রায় এক হাজার ফুট গভীর খাদে পড়ে অসমের ২১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সেদিন সংঘটিত দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচেছেন মাত্ৰ একজন, তিনি গুধেশ্বর দীপ (২৩)। দুর্ঘটনার শিকার সব শ্রমিক অসমের তিনসুকিয়া জেলার অন্তর্গত গেলাপুখুরি চা বাগানের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে ২১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস