
আগরতলা, ১৪ ডিসেম্বর (হি.স.) : শনিবার আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে বিজেপি-এর জনজাতি মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত যোগদান সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা ও জনজাতি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার বক্তব্যকে তীব্র ভাষায় নিন্দা করল তিপ্রা মথা। রবিবার রাজধানীর রাজ অন্দরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিপ্রা মথার নেতা রাজেশ্বর দেববর্মা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজেশ্বর দেববর্মা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ককবরক ভাষা নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ককবরক ভাষার উন্নয়ন কীভাবে হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র সেই ভাষাভাষী জনজাতি মানুষেরই রয়েছে। শনিবারের সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর আসল মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ককবরক ভাষার উন্নয়ন নিয়ে বর্তমান সরকারের আদৌ কোনও আন্তরিকতা নেই।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনজাতি সমাজের আশা ছিল, বামফ্রন্ট সরকারের পতনের পর নতুন সরকার ককবরক ভাষার দাবিগুলিকে গুরুত্ব দেবে এবং ভাষার উন্নয়নে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু শনিবারের সভায় দেওয়া বক্তব্য সেই আশার সম্পূর্ণ বিপরীত। ককবরক ভাষার সার্বিক বিকাশের স্বার্থে রোমান হরফ গ্রহণের দাবিও পুনরায় তোলেন রাজশ্বর দেববর্মা।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে রাজেশ্বর দেববর্মা আরও দাবি করেন, রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে আয়োজিত জনজাতি মোর্চার যোগদান সভা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর দাবি, সভায় পাঁচ হাজার লোকও জমায়েত করতে পারেনি বিজেপি-এর জনজাতি মোর্চা। নেতারা জনগণকে আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে রাজেশ্বর দেববর্মা বলেন, আসন্ন টিটিএএডিসি নির্বাচনে বিজেপি একটি আসনও পাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বিপরীতে দিন দিন তিপ্রা মথার শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। আসন্ন টিটিএএডিসি নির্বাচন এবং ২০২৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিপ্রা মথার নেতা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিপ্রা মথার এই নেতা।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ