বাংলাদেশে হিন্দু যুবককে হত্যার অভিযোগ
ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর (হি. স.) : ময়মনসিংহের ভালুকায় বৃহস্পতিবার রাতে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ভালুকা উপজেলা, স্কোয়ার মাস্টার বাড়ি দুবালিয়া পাড়া এ
বাংলাদেশে হিন্দু যুবককে হত্যার অভিযোগ


ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর (হি. স.) : ময়মনসিংহের ভালুকায় বৃহস্পতিবার রাতে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ভালুকা উপজেলা, স্কোয়ার মাস্টার বাড়ি দুবালিয়া পাড়া এলাকায়।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত যুবকের নাম দীপু চন্দ্র দাস। তিনি স্থানীয় একটি গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করতেন এবং এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। পুলিশ কর্মকর্তা রিফন মিয়া বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাতে ক্ষিপ্ত জনতা তাঁকে ধরে পেটায়, প্রফেট সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ আনা হয়। পরে তাঁকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতের দেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, “আমরা তার আত্মীয়দের খুঁজছি। যদি তারা মামলা দায়ের করেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দীপু চন্দ্র দাসের হত্যা প্রসঙ্গে মাস্টারদা সূর্যসেন ফাউন্ডেশনের তরফে জানানো হয়েছে, যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছেলেকে মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে সে মূলত কোনো ধর্ম নিয়ে কিছুই বলেনি। হিন্দু ছেলে নিজ যোগ্যতায় গার্মেন্টসে সুপারভাইজার পদ পেয়েছিলো। কিন্তু আরো তিনজন মুসলিম ছেলে টাকার লেনদেন করেও তাদের জন্য সুপারভাইজার পদ পায়নি। তাই তাকে ডেকে কিছু মানুষের ভিড়ে নিয়ে গিয়ে হঠাৎ করে গুজব ছড়িয়ে দেয়, এই হিন্দু ছেলেটা আমাদের ইসলাম এবং নবীজিকে অবমাননা করেছে। উৎসুক জনতা সত্য মিথ্যা কিছু যাচাই না করেই তাকে মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে উল্লাস করেছে।

মাস্টারদা সূর্যসেন ফাউন্ডেশন দাবি করেছে, এই যুবকের সাথে গার্মেন্টসে চাকরি করা এক মুসলিম নারী নিজ মুখেই আসল ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। অপরাধ একটাই, ছেলেটা বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী।

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande