
বীরভূম, ২০ ডিসেম্বর (হি. স. ) : বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ভবনের সংগ্রহশালা খোলার সম্ভাবনা ফের স্তিমিত হয়ে গেল। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, বিষয়টি দু’দেশের কূটনৈতিক বিষয়। তাই এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷
বাংলাদেশ সরকারের ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বভারতীর ইন্দিরা গান্ধি জাতীয় সংহতি কেন্দ্রের মাঠে ৪০ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক 'বাংলাদেশ ভবন'৷ ২০১৮ সালের ২৫ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ এই ভবনের নকশা তৈরি করেছিলেন স্বয়ং বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷
পরে এই ভবন পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের তরফে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়৷ চুক্তি হয়েছিল এই টাকা ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে রেখে তার সুদের অংক দিয়ে বাংলাদেশ ভবন রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে৷ আর ভবনের দায়িত্বে থাকবে বিশ্বভারতী৷ এই ভবনে রয়েছে মুজিবুর রহমানের একটি বড় ভাস্কর্য, দুই বাংলার ইতিহাসের একাধিক নথি, ছবি, দলিল-সহ নানান সামগ্রী৷ রয়েছে একটি আধুনিক মানের প্রদর্শনশালা, গ্রন্থাগার, প্রেক্ষাগৃহ৷ পর্যটকরা প্রদর্শনশালা ঘুরে দেখতে পারতেন৷ আর পড়ুয়ারা গবেষণা, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য গ্রন্থাগার ও প্রেক্ষাগৃহ ব্যবহার করতে পারতেন৷
তবে, হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ভবন বন্ধ রাখা হয়েছে৷ ধীরে-ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বাংলাদেশ ভবনের প্রেক্ষাগৃহে শুরু হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এক মাসের মধ্যে সর্বসাধারণের জন্য বাংলাদেশ ভবনের সংগ্রহশালাটি খুলে দেওয়া হবে৷
কিন্তু, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপাতত ‘ধীরে চলো’ নীতি নিতে চান কর্তৃপক্ষ।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত