কাছাড়ে ধান সংগ্রহে কৃষকদের স্বার্থরক্ষা ও এমএসপি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ
অনুমোদিত সংগ্রহ কেন্দ্র ছাড়া ধান বিক্রি নিষিদ্ধ, আইন লঙ্ঘনে কঠোর শাস্তির সতর্কবার্তা শিলচর (অসম), ২০ ডিসেম্বর (হি.স.) : কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং সরকারি ধান সংগ্রহ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাছাড়ের জেলাশাসকের কার্যালয়
কাছাড়ে ধান সংগ্রহে কৃষকদের স্বার্থরক্ষা ও এমএসপি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ


অনুমোদিত সংগ্রহ কেন্দ্র ছাড়া ধান বিক্রি নিষিদ্ধ, আইন লঙ্ঘনে কঠোর শাস্তির সতর্কবার্তা

শিলচর (অসম), ২০ ডিসেম্বর (হি.স.) : কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং সরকারি ধান সংগ্রহ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাছাড়ের জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কাছাড় জেলায় ধান সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে অসম ধান ও চাল সংগ্রহ (লেভি ও লাইসেন্সিং) স্থায়ী আদেশ, ১৯৯৫ অনুযায়ী পরিচালিত হবে। এই নির্দেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তির উদ্ধৃতি দিয়ে শিলচরে অবস্থিত বরাক উপত্যকার তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রেস বিবৃতিতে এ খবর দিয়ে জানানো হয়েছে, জেলার সকল কৃষককে কেবলমাত্র সরকারকর্তৃক অনুমোদিত ও বিজ্ঞপ্তিপ্রাপ্ত প্যাডি প্রকিউরমেন্ট সেন্টার-এর মাধ্যমেই ধান বিক্রি করতে হবে। সরকার ঘোষিত সংশ্লিষ্ট খরিফ বিপণন মরশুমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-এর চেয়ে কম দামে কোনও ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, কমিশন এজেন্ট, মিল মালিক বা কোনও সংস্থার দ্বারা ধান ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া, অসম ধান ও চাল সংগ্রহ (লেভি ও লাইসেন্সিং) স্থায়ী আদেশ, ১৯৯৫ অনুযায়ী যথাযথ লাইসেন্সপ্রাপ্ত নয় এমন কোনও অননুমোদিত ব্যবসায়ী, এজেন্ট, সংস্থা বা ব্যক্তির কাছে ধান বিক্রি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে বৈধ অনুমতি বা পারমিট ছাড়া কাছাড় জেলার বাইরে ধান পরিবহণ বা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, জেলার সকল ব্যবসায়ী, মিল মালিক, পরিবহণকারী ও সংগ্রহকারী সংস্থাকে লাইসেন্স, লেভি, মজুত ঘোষণা এবং ধান পরিবহণের সঙ্গে সম্পর্কিত সকল বিধান কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে, যা এই স্থায়ী আদেশে নির্ধারিত রয়েছে।

জেলা প্রশাসন স্পষ্টভাবে সতর্ক করে জানিয়েছে, উপরোক্ত নির্দেশাবলি লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অসম ধান ও চাল সংগ্রহ (লেভি ও লাইসেন্সিং) স্থায়ী আদেশ, ১৯৯৫, অপরিহার্য পণ্য আইন, ১৯৫৫ এবং প্রযোজ্য অন্যান্য আইনের অধীনে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষকে এই নির্দেশাবলি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande