
শিলচর (অসম), ২০ ডিসেম্বর (হি.স.) : বাংলাদেশের বর্তমান অরাজক পরিস্থিতির জন্য সামাজিক সংগঠন ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি মেমোরিয়াল স্বার্থ সুরক্ষা পরিষদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পরিষদের সভাপতি ড. হারাণ দে এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ‘কথায় কথায় ভারতের চিকেন নেক সহ উত্তরপূর্ব ভারত দখল করব’, এ ধরনের অবাঞ্ছিত বক্তব্য পেশ করেন। এদের ভাবটা এমন যে বাংলাদেশ একটি প্রবল শক্তিধর দেশ এবং যে কোনও সময় ভারতের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে।
আক্ষেপ করে হারাণ দে বলেন, ঋণের চাপে জেরবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি মৌলবাদীরা এখন এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে দেশের সাধারণ মানুষ তিলে তিলে কষ্টের সম্মুখীন হয়ে চলেছেন। মৌলবাদীদের হাতের ক্রীড়নক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্র পরিচালনায় চরম ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সহ উপজাতিরা নানাভাবে হেনস্থার শিকার হওয়ার প্রসঙ্গে হারাণ দে বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা জনৈক রবিচন্দ্র দাসের বছর তিরিশের ছেলে দিপুচন্দ্র দাসকে ভালুকা উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করে একটি গাছের ডালে তাঁর লাশ ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে উন্মত্ত উল্লাস করেছে দলবদ্ধ পিশাচরা। নিহত দিপু দাস ওই এলাকায় অবস্থিত পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানায় চাকরি করতেন। দিপু দাসকে যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, সভ্য সমাজে এর উদাহরণ নেই। দিপু দাসের অপরাধ, সে নাকি নবীর বিরুদ্ধে কথা বলেছিল, যা মোটেই সত্য নয়। এর পেছনে রয়েছে অন্য রহস্য, বলেন ড. দে।
ড. হারাণ দে বলেন, বাংলাদেশের কতিপয় মানুষ এ ধরনের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। কিন্তু এঁদের কথা কে শুনে, যেহেতু তাঁদের সংখ্যা নেহাতই কম। আর কিছু লোক প্রাণের ভয়েও মুখ খুলতে পারছেন না।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস