
কলকাতা, ২০ ডিসেম্বর (হি. স. ) : “রাজনীতিটা আমার কাছে চাকরি ব্যবসা করে কম্মে খাওয়ার জায়গা নয়। বিধায়ক গিরি করা ছাড়াও আমার কাছে জনসেবা করার জন্য অনেক প্লাটফর্ম আছে। তখন সে গুলো করব। আমার যা বলার বলে দিলাম। এই বিষয়ে আর আমাকে কেউ কোন প্রশ্ন করবেন না।”
শনিবার এভাবে সামাজিক মাধ্যমে মনের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী মনোরঞ্জন ব্যাপারি। এ ব্যাপারে প্রবল প্রতিক্রিয়া নেটনাগরিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে। এদিন বেলা সওয়া তিনটে পর্যন্ত ৩১৩টি প্রতিক্রিয়া এসেছে। প্রায় সবকটিই তাঁর সমর্থনে।
কল্যাণ সেনগুপ্ত লিখেছেন, “কায়েমী স্বার্থের বিরুদ্ধে লড়াই করে ও খানিক সফল হয়ে আপনি দেশ ও দলের সাধ্যমত উপকার করেছেন। সেলাম।” দেবকুমার ঘোষ লিখেছেন, “বিধায়ক হবার অনেক আগে থেকেই ফেসবুকে আপনাকে ফলো করি। বেশ কয়েকবার আপনার লেখা বইও পড়েছি, আপনার এই পোস্ট পড়ে আপনার প্রতি সন্মান অনেক বেড়ে গেলো। এগিয়ে চলুন দাদা, কে কি ডাকলো তাতে কি এসে যায়, আপনি আপিনার কর্তব্যে অবিচল আর এটাই সবথেকে বড় পাওনা এই কিছু না পাবার সমাজে।”
রণজিৎ মজুমদার লিখেছেন, “আপনাকে অসংখ্য অভিনন্দন। আমার মনে হয় মানুষের জন্য এত ভাল কাজ আর কোন বিধায়ক করে নি। আপনি পাকে থেকেও গায়ে পাক লাগতে দেন নি। আপনি মনুষ্যত্ব বিসর্জন দেন নি, এই জন্যই মানুষ আপনাকে ভালবাসেন। মনে হয় এই বিপরীতধর্মী কাজের জন্য দল আর ভুল করবে না। ভাল থাকবেন।”
স্বপন ব্যাপারী লিখেছেন, “এত কিছু জেনেও এই দলটা করা যায়। টিকিট পেলে দাঁড়ানোর ইচ্ছাও থাকে, তার পরেও নিজেকে সৎ বলা যায়। এই সাহস অভিনন্দনযোগ্য।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত