মোদী ও তাঁর সভার সমালোচনায় মুখর রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা
কলকাতা, ২০ ডিসেম্বর (হি. স. ) : আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যদি কোথাও উপস্থিত না হতে পারেন, তাহলে ''পালিয়ে যাওয়া'' বলা হয় এবং পদত্যাগ দাবি করা হয়। আজ প্রধানমন্ত্রী যে পৌঁছতে পারলেন না, ক’জন মানুষ মারা গেলেন, তাহলে তিনিও কি পদত্যাগ করবেন? শনিবার সাংবাদ
মোদী ও তাঁর সভার সমালোচনায় মুখর রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা


কলকাতা, ২০ ডিসেম্বর (হি. স. ) : আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যদি কোথাও উপস্থিত না হতে পারেন, তাহলে 'পালিয়ে যাওয়া' বলা হয় এবং পদত্যাগ দাবি করা হয়। আজ প্রধানমন্ত্রী যে পৌঁছতে পারলেন না, ক’জন মানুষ মারা গেলেন, তাহলে তিনিও কি পদত্যাগ করবেন?

শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দিকে যাঁরা আঙুল তুলেছেন, এক্ষেত্রে আমরা ধিক্কার জানাই।' শুধু তাই নয়, এয়ার পোর্টে বসে কি রাজনৈতিক সভা করা যায়? সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে চন্দ্রিমা বলেন, ''এটা (বিমানবন্দর) তো কেন্দ্রের জায়গা। এই কাজের জন্য তাঁর পদত্যাগ করা উচিত নয়? কিন্তু উনি তো সাংবাদিকদের মুখোমুখি বসবেন না। আমরা বলছি এই কথাগুলো আপনারা তুলে ধরুন। মানুষ এমনিও বুঝছেন।''

প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির উদ্দেশে চন্দ্রিমা বলেন, ''যত ইচ্ছে বিরোধিতা করুন, কিন্তু বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা স্বীকার করুন। টাকা দিচ্ছেন না আর বলছেন বাংলায় অনেক উন্নয়ন করেছেন! মানুষ সব বুঝেছেন।''

অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা বলেন, সীমান্তের জন্য যখন বিএসএফ জায়গা চেয়েছে, রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে তা দেওয়া হয়েছে। এরপরও কোথায় তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) সহযোগিতা করেননি, প্রশ্ন তৃণমূলের।

প্রধানমন্ত্রীর চপার আবহাওয়ার কারণে এদিন অকুস্থলে নামতে পারেনি। বিষয়টিকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ''উনি কৃষ্ণনগরেও নামতে পারতেন। তবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অভিধানে কৃষ্ণনগর নেই, কৃষ্ণগড় আছে। প্রসঙ্গত, কুয়াশার কারণে মোদীর কপ্টার নামতে ব্যর্থ হয় তাহেরপুরে। তাই তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় দমদমে। দৃশ্যমানতার উন্নতি হলে তিনি কপ্টারে তাহেরপুর যাবেন বলে মনে করা হয়েছিল। তবে সড়কপথেও প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে যেতে পারেন, এই সম্ভাবনাও ছিল। শেষ পর্যন্ত, দমদম বিমানবন্দর থেকে ভার্চুয়ালি সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande