যুবসমাজকে নেশার কবল থেকে রক্ষা করতে খেলাধুলার বিকল্প নেই : মন্ত্রী টিংকু
কৈলাসহর (ত্রিপুরা), ২০ ডিসেম্বর (হি.স.) : নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনে রাজ্য সরকার সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানালেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দফতরের মন্ত্রী টিংকু রায়। শনিবার ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত
মন্ত্রী টিংকু রায়


কৈলাসহর (ত্রিপুরা), ২০ ডিসেম্বর (হি.স.) : নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনে রাজ্য সরকার সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানালেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দফতরের মন্ত্রী টিংকু রায়। শনিবার ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘উনকোটি জেলাভিত্তিক নেশামুক্ত ত্রিপুরা অ্যাওয়ারনেস ওয়ার্কশপ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী জানান, নেশায় আসক্তদের নিরাময় ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, কৈলাসহরে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নেশামুক্তি কেন্দ্র ও হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই নেশামুক্তি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তিনি আরও জানান, বিশ্রামগঞ্জে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নেশামুক্তি কেন্দ্র ও হাসপাতাল নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১১০ কোটি টাকা।

ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, যুবসমাজকে নেশার কবল থেকে রক্ষা করতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। তাই রাজ্য সরকার ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি বিভিন্ন জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় নতুন খেলার মাঠ তৈরি করা হচ্ছে। কৈলাসহরের দেওরাছড়া এলাকায় প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক খেলার মাঠ। তিনি আরও জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে ইতিমধ্যেই ১৪টি সিন্থেটিক খেলার মাঠ এবং ২০টি প্রাকৃতিক ঘাসের মাঠ নির্মিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ইন্ডোর স্টেডিয়ামও তৈরি হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্রীড়া দফতরের সহকারী অধিকর্তা অমিত যাদব। উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, চণ্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সম্পা দাস পাল, জিলা পরিষদের সদস্য বিমল কর, কৈলাসহর মহকুমার মহকুমা শাসক বিপুল দাস, জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শীর্ষেন্দু চাকমা ও সমাজ কল্যাণ দফতরের জেলা পরিদর্শক বিদ্যাসাগর দেববর্মা প্রমুখ। কর্মশালার পাশাপাশি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয়।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande