ওড়িশার কন্ধমালে মাওবাদী শীর্ষ কমান্ডার সহ খতম ৫
ভুবনেশ্বর, ২৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : ওড়িশার কন্ধমাল জেলায় মাওবাদী দমনে এক ঐতিহাসিক সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। সাম্প্রতিক এক বড়সড়ো এনকাউন্টারে খতম হল সিপিআই (মাওবাদী) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গণেশ উইকে সহ মোট ৫ জন মাওবাদী। এই ঘটনাকে ওড়িশায় মাওবাদ
গণেশ উইকে


ভুবনেশ্বর, ২৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : ওড়িশার কন্ধমাল জেলায় মাওবাদী দমনে এক ঐতিহাসিক সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। সাম্প্রতিক এক বড়সড়ো এনকাউন্টারে খতম হল সিপিআই (মাওবাদী) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গণেশ উইকে সহ মোট ৫ জন মাওবাদী। এই ঘটনাকে ওড়িশায় মাওবাদী আন্দোলনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার মতো ঘটনা হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টিয়ার ফোর্স -এর যৌথ অভিযানে এই সাফল্য এসেছে।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার কন্ধমাল ও কালাহান্ডি জেলার সীমান্তবর্তী তুমুদিবন্ধ ও বেলঘর থানার অন্তর্গত জঙ্গলে এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়। জঙ্গল ঘিরে ফেলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের তুমুল গুলিবিনিময় শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা এই লড়াইয়ে ৫ জন মাওবাদী নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৩টি অত্যাধুনিক একে-৪৭ রাইফেল, বিপুল পরিমাণ কার্তুজ এবং মাওবাদী নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম গণেশ উইকে। ছত্তিশগড় ও ওড়িশা সীমান্তে ‘লাল সন্ত্রাস’ জিইয়ে রাখার অন্যতম প্রধান কারিগর ছিল সে। তার মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকারও বেশি। পুলিশের মতে, গণেশ উইকে ছিল মাওবাদীদের ‘মাস্টারমাইন্ড’, যে বিগত কয়েক দশক ধরে ওডিশার জঙ্গলে সংগঠনকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। তার মৃত্যুতে সংগঠনের নেতৃত্ব স্তরে বড়সড়ো শূন্যস্থান তৈরি হল।

হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি




 

 rajesh pande