
দুর্গাপুর, ২৯ ডিসেম্বর (হি.স.) : মুখ্যমন্ত্রীর আসন্ন সভার আগেই জোরালো হয়ে উঠল আশাকর্মীদের আন্দোলন। বেতন বৃদ্ধি, সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি ও স্থায়ীকরণের দাবিতে দুর্গাপুর নগর নিগমের অধীন আশাকর্মীরা সোমবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন।
মঙ্গলবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে। তার আগেই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতির পাশাপাশি দুর্গাপুরে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ালেন পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা। আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, বেতন বৃদ্ধি ও স্থায়ীকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্গাপুর নগর নিগমের অধীন আশাকর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে তাঁরা কর্মবিরতি শুরু করেন। সোমবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী কন্ট্রাকচুয়াল ইউনিয়নের সদস্যরা দুর্গাপুর নগর নিগমের সামনে অবরোধ শুরু করেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দুর্গাপুর পুরসভার অধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত আশাকর্মীদের প্রতিদিন ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। অথচ মাসিক বেতন পাঁচ হাজার টাকার সামান্য বেশি। এই অমানবিক অবস্থার বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী কন্ট্রাকচুয়াল ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদিকা কেকা পাল বলেন, “গত ২২ আগস্ট কালিঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলাম, দেখা হয়নি। ১১ নভেম্বর নগরোন্নয়ন দফতরে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও সুযোগ পাইনি। সাত দিনের মধ্যে ডাকা হবে বলা হয়েছিল, কিন্তু এখনও কিছু হয়নি। তাই ২৩ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের ১২৯টি পৌরসভা ও গ্রামীণ এলাকার আশাকর্মীরা আন্দোলনে নেমেছেন।”
এদিন আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তাঁদের দাবি বিবেচনার আবেদন জানান।
এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণচন্দ্র ঘোড়ুই বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মীরা চরম বঞ্চনার শিকার। তাঁদের আন্দোলন সম্পূর্ণ ন্যায্য। আমি তাঁদের দাবি সমর্থন করি।”
অন্যদিকে দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, “কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। ধৈর্য ধরুন। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের পাশে রয়েছেন।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা