
মোহনপুর (ত্রিপুরা), ২৯ ডিসেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরা সরকার রাজ্যজুড়ে জল পুনর্ভরণ বৃদ্ধি ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে ২০২১ সাল থেকে ১,২০০-টিরও বেশি জলাশয় নির্মাণ করেছে বলে জানালেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ। সোমবার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মোহনপুরে নতুন জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের ভূমি পূজা অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, ভূগর্ভস্থ জল রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলেও এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ভবিষ্যতে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ তুলে তিনি জানান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ভূগর্ভস্থ জলের ১০০ শতাংশ ব্যবহৃত হয়, পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহৃত হয় ৫২ শতাংশ। সেখানে ত্রিপুরায় ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্র ৯ শতাংশ, যা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ অবস্থান হলেও নির্ভরতা বাড়ানো উচিত নয়।
কৃষিমন্ত্রী সূত্রে জানা যায়, রাজ্যে এখন পর্যন্ত ১৮১টি চেক ড্যাম, ১,০৪১টি পুকুর, ৪৪টি অমৃত সরোবর গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি ১৩২টি পরিত্যক্ত পুকুর পুনরুজ্জীবিত হয়েছে এবং কৃষকদের সেচ সুবিধা বাড়াতে তৈরি হয়েছে ৬,৯৯২ মিটার সেচ খাল।
মন্ত্রী আরও জানান, জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনার অধীনে রাজ্যের ১৮টি মহকুমায় মোট ৪৮টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে ঝর্ণা, নদী ও জলাশয় পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি স্থায়ী সরকারি সম্পদ ও বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। পরিবেশ-পর্যটনের ওপর গুরুত্ব দিয়েই প্রকল্পগুলি এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ২০২৬ সালের মার্চে তৃতীয় পর্যায় চালু হলে আরও নতুন প্রকল্প নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ