
শান্তিপুর, ২৯ ডিসেম্বর ( হি. স.) : সোমবারশান্তিপুরে ফের রাম মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শহরজুড়ে আনাচে–কানাচে লাগানো ব্যানারে রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ব্যানারে উল্লেখ রয়েছে—‘কবি কৃত্তিবাস রাম মন্দির ট্রাস্ট কমিটি’। জানা গিয়েছে, নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপাতলা এলাকায় এই মন্দির নির্মিত হবে।ট্রাস্ট কমিটির সম্পাদক লিটন ভট্টাচার্য জানান, ২০১৭ সাল থেকে ট্রাস্টের কাজ শুরু হলেও ২০২৫ সালে তা সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পে সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় রাম মন্দির গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁর দাবি, শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য এই উদ্যোগে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন। পাশাপাশি কৃত্তিবাসের হাতে লেখা রামায়ণের একটি অংশ, যা বর্তমানে ফ্রান্সে রয়েছে, তা ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও চলছে বলে জানান তিনি।এদিকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শাসক ও বিরোধী—উভয় শিবিরই। শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, ভগবান রামকে নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয় এবং এই জায়গার ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার মন্দির নির্মাণে আপত্তি না থাকলেও ট্রাস্টের স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে অরিন্দম ভট্টাচার্য দাবি করেন, রাজনৈতিক বাধার কারণেই শান্তিপুরের উন্নয়ন বারবার থমকে যাচ্ছে। মন্দির না সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, না কি রাজনৈতিক কৌশল—এই প্রশ্নেই এখন উত্তাল শান্তিপুরের রাজনীতি।
হিন্দুস্থান সমাচার / এ. গঙ্গোপাধ্যায়