
বাকসা (অসম), ৩০ ডিসেম্বর (হি.স.) : জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা এবং জনসংখ্যাগত ভারসাম্য রক্ষা করতে ‘হিন্দুদের দুই বা তিন সন্তান’ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
আজ মঙ্গলবার বাকসায় এক সরকারি কর্মসূচিতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা। এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে বার্তালাপে এক প্রাসঙ্গিক বক্তব্যে এই পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা। তিনি বলেন, যে সব এলাকায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু বা সংখ্যালঘু হয়ে পড়ার পথে, সেই সব অঞ্চলে হিন্দু দম্পতিদের একের বেশি সন্তান নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার এই আবেদনের লক্ষ্য হলো জনসংখ্যাগত পরিবর্তন রোধ করা এবং ওইসব অঞ্চলে সামাজিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।’
হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে জন্মহারের বৈষম্য উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের একাধিক এলাকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্মহার তুলনামূলকভাবে বেশি। অথচ হিন্দুদের জন্মহার ধীরে ধীরে কমছে। জনসংখ্যাগত এই পার্থক্যকে উপেক্ষা করা হলে ভবিষ্যতে এর দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক প্রভাব পড়তে পারে। তাই যে সব এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায় ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু বা সংখ্যালঘু হয়ে যাওয়ার মুখে, সেখানে পরিবারগুলির এক সন্তানেই থেমে থাকা উচিত নয়।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘হিন্দু পরিবারগুলির অন্তত দুটি সন্তান থাকা উচিত এবং সম্ভব হলে তিনটি সন্তান নেওয়াও উচিত। নইলে পরিবার দেখাশোনার মতো কেউ থাকবে না...।’
ড. শর্মা আরও বলেন, ‘আমার সরকার মুসলিম পরিবারগুলিকেও অতিরিক্ত বড় পরিবার না গড়তে ধারাবাহিকভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছে। আমরা মুসলিমদের বলি, সাত বা আটটি সন্তান যেন না নেন।’
তবে তিনি বলেন, ‘আমার এই বক্তব্য বা পরামর্শ কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে নয়। জনসংখ্যাগত ভারসাম্য বজায় রাখার উদ্দেশ্যেই এই পরামৰ্শ।’
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস