এসআইআর শুনানিতে শয্যাশায়ী ও প্রাক্তন সেনাদের হয়রানির অভিযোগ, প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা
বারাসাত, ৩০ ডিসেম্বর ( হি. স.)- এসআইআর শুনানি ঘিরে এবার বারাসাতে শয্যাশায়ী অসুস্থ ব্যক্তি ও প্রাক্তন সেনা জওয়ানদের হয়রানির অভিযোগ সামনে এল। বারাসাতের বরিশাল কলোনির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনীল বারুই দীর্ঘদিন ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী। ২০০২ সা
এম্বুলেন্স এস আই আর


বারাসাত, ৩০ ডিসেম্বর ( হি. স.)- এসআইআর শুনানি ঘিরে এবার বারাসাতে শয্যাশায়ী অসুস্থ ব্যক্তি ও প্রাক্তন সেনা জওয়ানদের হয়রানির অভিযোগ সামনে এল। বারাসাতের বরিশাল কলোনির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনীল বারুই দীর্ঘদিন ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকার কারণে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে বাড়িতে শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর বয়স ৮৫ বছর না হওয়ায় সেই আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাঁকে এসআইআর কেন্দ্রে আসতে হয়। যদিও কমিশনের পক্ষ থেকে দ্রুততার সঙ্গে তাঁর শুনানির কাজ সেরে দেওয়া হয়।এ প্রসঙ্গে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বারাসাতের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশনি মুখার্জী বলেন, “এই গোটা বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। বাড়িতে বসেই শুনানি হলে এই ধরনের অসুস্থ মানুষদের ভোগান্তি কমত। কমিশন গোটা প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে।”অন্যদিকে, কারগিল যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন সেনা জওয়ান সঞ্জীব ভট্টাচার্য এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও এসআইআর শুনানির জন্য তলব করা হয়েছে। বারাসাত পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জীব ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত ছিলেন। অবসরের পর এসআইআর প্রক্রিয়ায় তাঁরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ।এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় পৌরপিতা চম্পক দাস বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও প্রাক্তন সেনা জওয়ানদের এইভাবে হয়রানি নির্বাচন কমিশনের চরম ব্যর্থতাকেই প্রকাশ্যে আনছে।”

হিন্দুস্থান সমাচার / এ. গঙ্গোপাধ্যায়




 

 rajesh pande