
ফ্লোরিডা, ৩০ ডিসেম্বর (হি.স.): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ফ্লোরিডায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর হামাসকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, হামাস যদি অস্ত্র সমর্পণ না করে, তবে তার পরিণতি গুরুতর হবে।
বৈঠক শেষে ট্রাম্প জানান, হামাস অস্ত্র ছাড়লে গাজা সংক্রান্ত শান্তি পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপ দ্রুত কার্যকর করা সম্ভব। তাঁর দাবি, একাধিক দেশ এই শান্তি উদ্যোগে সমর্থন জানিয়েছে এবং প্রয়োজনে হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে তারা প্রস্তুত। অস্ত্র ত্যাগের বিষয়ে হামাসকে সীমিত সময় দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, পরিস্থিতির উপর নজরদারিতে থাকবেন মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং জ্যারেড কুশনার। অস্ত্র ছাড়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না হলে হামাসের জন্য পরিস্থিতি অনুকূল থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তবে ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলের মধ্যে এখনও পূর্ণ ঐকমত্য হয়নি বলেও স্বীকার করেন ট্রাম্প।
এদিকে নেতানিয়াহু বৈঠককে ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইজরায়েলের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করা হবে, যা এই প্রথম কোনও অ-ইজরায়েলি পাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে নেতানিয়াহু মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। গত নভেম্বর মাসে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েই এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল|
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, হোয়াইট হাউসের আধিকারিকদের একাংশ নেতানিয়াহুর উপরে কিছুটা অসন্তুষ্ট থাকলেও ট্রাম্পের সঙ্গে এই বৈঠক ফের প্রমাণ করল রিপাবলিকান প্রশাসনের আমলে ইজরায়েল ও আমেরিকার সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে চলেছে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌমি বৈদ্য