স্বনির্ভরতার পুরস্কার পেলেন সুন্দরবনের ১২ জন মহিলা
বাসন্তী, ৪ ডিসেম্বর (হি. স.): কথায় আছে যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন। তবে সুন্দরবনের মেয়েরা যে এসবের পাশাপাশি নিজেরা স্বনির্ভর হয়ে সংসারের হালও ধরতে পারেন তা বারে বারে প্রমাণ করেছেন। এবার সুন্দরবনের ১২ টি গ্রামের বারোজন এমন মহিলাকে খুঁজে এনে তাঁদেরক
স্বনির্ভরতার পুরস্কার পেলেন সুন্দরবনের ১২ জন মহিলা


বাসন্তী, ৪ ডিসেম্বর (হি. স.): কথায় আছে যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন। তবে সুন্দরবনের মেয়েরা যে এসবের পাশাপাশি নিজেরা স্বনির্ভর হয়ে সংসারের হালও ধরতে পারেন তা বারে বারে প্রমাণ করেছেন। এবার সুন্দরবনের ১২ টি গ্রামের বারোজন এমন মহিলাকে খুঁজে এনে তাঁদেরকে সম্মানিত করল লায়ন্স ক্লাব নামে একটি সংস্থা। শত প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে সরিয়ে রেখে কপালকুন্ডলা, সুজাতা, ফুলমালা, অনিমারা নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁরা কোনও অংশে কম নন। বৃহস্পতিবার বাসন্তীর জয়গোপালপুর গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের মুক্ত মঞ্চে এই বারোজন মহিলাকে উত্তরীয়, মেমেন্টো দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

তবে তাঁদের কারও যাত্রাপথ সহজ ছিল না। কারও ছোটবেলায় বিয়ে হয়ে গেলেও শ্বশুরবাড়ির সমস্ত কাজ সামলে শুধুমাত্র ইচ্ছে শক্তির জেরে পড়াশুনা চালিয়ে গিয়েছেন। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের মতো একের পর এক শিক্ষার মাইলস্টোন পাড় করেছেন। পাশাপাশি গ্রামের অন্যান্য মহিলাদেরকেও উৎসাহ দিয়েছেন পড়াশুনা করার, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর, নিজের ক্ষমতায় কিছু করে দেখানোর জন্য। আবার অনেকেই স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করে মহিলাদের হাতের কাজ শিখিয়ে ব্যবসা করতে শিখিয়েছেন, নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন। কেউ বা প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাণী মিত্র হিসেবে কাজ করছেন গ্রামে। গ্রামের গবাদি পশু, হাঁস, মুরগি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। কেউ বা সেলাই, উল বোনার কাজ শিখে আজ নিজের নিজের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। নিজেদের রোজগার দিয়ে সংসারের এক একটা শক্ত খুঁটি হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।

সুন্দরবনের সন্দেশখালির বেরমজুর থেকে শুরু করে গোসাবার ছোটমোল্লাখালি, বাসন্তীর ঝড়খালি, রানীগড় সহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে এইসব মহিলাদেরকে খুঁজে বের করেছেন সংস্থার সদস্যারা ও জয়গোপালপুর গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র। জয়গোপালপুর গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের সম্পাদক বিশ্বজিৎ মহাকুর বলেন, “এইসব মহিলারা এগিয়ে এসেছিলেন নিজেদেরকে কর্মযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে, নিজেদের পাশাপাশি আশপাশের মানুষদেরও উন্নয়নে সহযোগিতা করতে। এরকম ১২ জনকে এদিন সম্মানিত করা হল।” উদ্যোক্তা মঞ্জুশ্রী গুপ্তা, স্বাতী গোস্বামীরা বলেন, “ শহরের মহিলারা অনেক এগিয়ে। কিন্তু গ্রামের মহিলারাও অনেকে আছেন যারা নিজেদের সীমিত সামর্থ্যয়ের মধ্য দিয়ে অনেক লড়াই করে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, অন্যদেরকেও প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তাঁদেরকেই উৎসাহ দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” এভাবে সম্মানিত হয়ে খুশি অনুপমা, জুথিকা, মনিকা, সুস্মিতারা।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা




 

 rajesh pande