এসআইআর এবং এনআরসি নিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টার অভিযোগ লকেটের
কলকাতা, ৯ ডিসেম্বর (হি.স.): “পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর এবং এনআরসি নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তৃণমূল সরকার এই ভয়ের রাজনীতি ব্যবহার করছে শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্ক রক্ষার উদ্দেশ্যে।” মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদ
লকেট চট্টোপাধ্যায়


কলকাতা, ৯ ডিসেম্বর (হি.স.): “পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর এবং এনআরসি নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তৃণমূল সরকার এই ভয়ের রাজনীতি ব্যবহার করছে শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্ক রক্ষার উদ্দেশ্যে।” মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের একথা বলেন।

লকেট বলেন, এসআইআর একটি স্বাভাবিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়া এবং এটি সাধারণ ভোটারদের অধিকার। এতে কোনও ভয়ের কারণ নেই। বরং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বোঝা যাচ্ছে কতজন বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গা ও ভুয়া ভোটার এতদিন ধরে ভোটার তালিকায় যুক্ত ছিল।

তিনি জানান, ২০০২ সালে এসআইআর খুব স্বাভাবিকভাবে হয়েছিল, কিন্তু আজ তৃণমূল সরকার আতঙ্ক তৈরি করছে। কারণ লক্ষ লক্ষ ভুয়া ও অবৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি প্রদর্শিত ‘ভয়’ নামের সচেতনতামূলক চিত্রটি দেখালেই বোঝা যায় কেন এই পরিস্কার প্রক্রিয়া তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে আঘাত করছে।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ভয় পাওয়ার কথা তাদের, যারা টাকার বিনিময়ে ভুয়া ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড বা জন্ম সার্টিফিকেট বানিয়ে অবৈধভাবে রাজ্যে বসবাস করছে।

লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে রাজ্যের বহু এলাকায় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভুয়া নথি বানানোর ব্যবসা চলছে। টিএমসিপির কিছু নেতা এটি থেকে সরাসরি লাভবান হচ্ছে। রাজারহাট ও উত্তরবঙ্গের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন,

“এসআইআর শুরু হতেই বহু অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নিজে থেকেই পালিয়ে যাচ্ছে। হাকিমপুর আউটপোস্ট দিয়ে ১৫ দিনে ১৫০০ বাংলাদেশি পালিয়ে যাওয়া তার বড় প্রমাণ। পশ্চিম বর্ধমানের এক মহিলার নামে ৪৪টি ভোটার কার্ড পাওয়া গেছে, যা প্রশাসনিক দুর্নীতির চরম উদাহরণ।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande