
কলকাতা, ৯ ডিসেম্বর (হি.স.): ড. অঞ্জলি চ্যাটার্জী রিজিওনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর হোমিওপ্যাথি কলকাতা মঙ্গলবার দ্বিতীয় WHO Global Summit on Traditional Medicine–এর আগে এক বিশেষ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। এই সামিট ১৭–১৯ ডিসেম্বর ২০২৫–এ নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিনের বৈঠকে সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য, এর সার্বিক প্রাসঙ্গিকতা, বৈজ্ঞানিক অগ্রাধিকারসহ সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন হোমিওপ্যাথি এবং ড. অঞ্জলি চ্যাটার্জী রিজিওনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর হোমিওপ্যাথি–এর প্রমাণ–ভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী ও সমন্বিত চিকিৎসা গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান তুলে ধরা হয়।
সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে কর্মকর্তারা জানান, আয়ুষ মন্ত্রক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)–এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশ্বের ১০০–রও বেশি দেশের মন্ত্রী, নীতিনির্ধারক, গবেষক, বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন চিকিৎসাপদ্ধতির শীর্ষস্থানীয় অনুশীলনকারীরা অংশ নেবেন। এ বছরের থিম, “Restoring balance: The science and practice of health and well-being”, প্রমাণ–নির্ভর, সুস্থায়ী, এবং ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বিত প্রয়োগের প্রতি সামগ্রিক আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন যে, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, নয়াদিল্লির অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় আয়ুষ প্রতিমন্ত্রী (আইসি) প্রতাপরাও যাদব ভারতের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাব্যবস্থায় নেতৃত্ব এবং বিশ্বব্যাপী আয়ুষ ব্যবস্থার প্রতি বাড়তে থাকা আস্থার কথা তুলে ধরেন।
আজকের বক্তব্যে ড. অঞ্জলি চ্যাটার্জী রিজিওনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর হোমিওপ্যাথি–এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (এইচ) ড. আরতি সোরেন সংস্থার গবেষণাধর্মী কাজের একটি সারসংক্ষেপ জানান, যার মধ্যে রয়েছে এর অত্যাধুনিক ভাইরোলজি পরীক্ষাগার, ওষুধের মান নির্ধারণের সুবিধা এবং ক্লিনিকাল, মৌলিক এবং ওষুধ গবেষণা প্রকল্পের বিস্তৃত ব্যবস্থা। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ড. গুরুদেব চৌবে, ড. সুরাইয়া পরভিন, ড. পার্থ প্রতীম পাল, ড. চিত্ররঞ্জন কুণ্ডু, ড. বিবাস্বন বিশ্বাস এবং ড. জি. ভি. নরসিমহা কুমার। তাঁরা গবেষণা প্রোটোকল, ওষুধ প্রমাণ, ক্লিনিকাল যাচাইকরণ এবং বিশেষ ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রদত্ত পরিষেবা-সহ সামাজিক স্তরে স্বাস্থ্য প্রচারের উদ্যোগের অন্তর্দৃষ্টি ভাগ করে নিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষে বক্তারা গবেষণা–সহযোগিতা আরও জোরদার করা এবং ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাব্যবস্থার উপর দ্বিতীয় হু বিশ্বব্যাপী সম্মেলনের গুরুত্ব সম্পর্কে বৃহত্তর জনসচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তাঁরা বলেন, সমন্বিত স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নির্মাণে ভারত কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করবে।
এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো|
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ