নয়াদিল্লি, ২০ নভেম্বর (হি.স.) : মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড দুই রাজ্যেই সুষ্ঠুমতো সম্পন্ন হলো বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ভোট পড়েছে ৫৮.২২ শতাংশ। ঝাড়খণ্ডে ৬৭.৫৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
মহারাষ্ট্রে বুধবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ভোটদান প্রক্রিয়া চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বুধবার মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা আসনের সব ক’টি আসনেই ভোটগ্রহণ হয় এদিন। ভোটগ্রহণ ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে যথেষ্ট উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে এদিন। সকাল থেকেই বুথের সামনে উৎসাহী জনতার লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি বহু ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও তারকা এদিন নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। এদিন মহারাষ্ট্রের জনতাকে বিপুল মাত্রায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হয়। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাযুতি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’র মধ্যে। এ ছাড়া ভোটের ময়দানে রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস), প্রকাশ আম্বেদকরের ‘বঞ্চিত বহুজন অঘাড়ি’ (ভিবিএ), হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-সহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলও ছিল। মহারাষ্ট্রে ভোটের ফল ঘোষণা হবে আগামী ২৩ নভেম্বর।
এদিকে বুধবার ঝাড়খণ্ডে হয় দ্বিতীয় তথা অন্তিম দফার ভোটগ্রহণ। ঝাড়খণ্ডের ৮১টির মধ্যে দ্বিতীয় তথা শেষ দফায় বুধবার ৩৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ঝাড়খণ্ডেও ভোটগণনা আগামী ২৩ নভেম্বর। বুধবার সকাল সাতটা থেকে ঝাড়খণ্ডে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, শেষ বিকেল পাঁচটায়। ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে প্রথম দফায় গত ১৩ নভেম্বর ৪৩টিতে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। বুধবার হবে বাকি ৩৮টিতে ভোটগ্রহণ হয়। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছিল জেএনএম-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাজোট’। এবারও তিন দল একসঙ্গে লড়েছে। সঙ্গে পেয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে এবার জোরদার প্রচার করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরও জয়ের বিষয়ে প্রবল আশাবাদী। শেষ দফায় ঝাড়খণ্ডে ভাগ্যপরীক্ষা হয় একঝাঁক তারকা প্রার্থীর। ভোটের দ্বিতীয় দফায় সোরেন পরিবারের চার সদস্য হেমন্ত সোরেন, কল্পনা সোরেন, সীতা সোরেন এবং বসন্ত সোরেন-এর রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ণয় হয়। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বরহেট বিধানসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসন জেএমএম-এর দুর্ভেদ্য দুর্গ বলে মনে করা হয়। এই দফায় মোট ৫২৮ জন প্রার্থীর ভাগ্যপরীক্ষা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ৫৫ জন মহিলা প্রার্থী।
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ