শান্তি রায় চৌধুরী:
কলকাতা, ১৮ এপ্রিল (হি.স.) : যে কজন অ্যাথলেট মাঠ ও মাঠের বাইরে দর্শক মহলে আলোড়ন তুলতে পেরেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম মারিয়া শারাপ্রভা। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে বিউটি ইউথ ব্রেইন। এই প্রবাদটা মনে হয় মারিয়ার ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি খাটে। সেই টেনিস সুন্দরীর আগামীকাল জন্মদিন। ১৯৮৭ সালে জন্ম নেওয়া শারার টেনিসে হাতে খড়ি বাবার হাত ধরে ৪ বছর বয়সে। ৬ বছরে ভর্তি হন মস্কোর টেনিস অ্যাকাডেমিতে। ২০০১ সালের এপ্রিলে পেশাদার টেনিসে পা রাখার পর ২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে উইমলডন জেতেন শারা। ২০০৬ সালে জিতে নেন ইউএস ওপেন। এরপর ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া ওপেনে এবং ২০১২ ও ২০১৪ সালে ফ্রেঞ ওপেনের শিরোপ ঘরে তোলেন এই গ্ল্যামার গার্ল।প্রাক্তন এই এক নম্বর টেনিস তারকা কেরিয়ারে জিতেছেন ৩৬টি ডব্লিউটিএ শিরোপা। টেনিস কোর্টে ফ্ল্যাট গ্রাউন্ড স্ট্রোকের জন্য বিখ্যাত ছিলেন তিনি। মডেল হিসেবেও খ্যাতির শীর্ষ ছিলেন তিনি।রাম্পে আগুন ধরাতেন এই রুশ সুন্দরী। নজর কাড়া সৌন্দর্য দিয়ে কোটি কোটি তরুণের হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন এই টেনিস তারকা। তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে কঠিনতম সময় পার করেছেন ২০১৬ সালে। ২০০৬ থেকে হৃদ রোগের ওষুধ মেল্ডোনিয়াম নেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হয়ে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটাতে হয় তাঁকে। নির্বাসন কাটিয়ে যখন কোর্টে ফিরলেন তখন তার খেলায় আগের মত ধার ছিল না। ৩২ বছর বয়সে পেশাদার টেনিসকে বিদায় বলে দেন এই তারকা। মূলত কাঁধের ইনজুরির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তিনি অবসর নেওয়ায় গ্ল্যামার হারায় টেনিস কোর্ট। ভোগ অ্যান্ড ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনে প্রতিবেদনের মারিয়া লেখেন, 'টেনিস-আমি গুডবাই জানাচ্ছি।' কেরিয়ারে শেষের দিকের সেই নিষেধাজ্ঞা বাদ দিলে মারিয়া হতে পারেন যেকোনও উঠতি মহিলা তারকার আইডল। চোট অস্ত্রপচার সহ যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে মারিয়া লড়েছেন, তা তাঁকে একজন দুর্দান্ত যোদ্ধা বানিয়েছে। কোট এবং কোর্টের বাইরে মারিয়ার অর্জনের জন্য তাই অনেক টেনিস তারকাই মন থেকেই শ্রদ্ধা করেন তাঁকে। নিজেকে নিয়ে তাই গর্ব করতেই পারেন এই চ্যাম্পিয়ন টেনিস তারকা।
হিন্দুস্থান সমাচার। শান্তি