কে কী বলবে তা আপনারা কেন শুনবেন, সমবেতদের উদ্দেশে প্রশ্ন মমতার
মালদা, ২০ এপ্রিল (হি.স.) : 'এক নেতা এক দেশ, এক নেতা একটাই খাবার। বলছে মাছ খাবেন না খবরদার। মাংস খাব
“কে কী বলবে তা আপনারা কেন শুনবেন”, সমবেতদের উদ্দেশে প্রশ্ন মমতার


মালদা, ২০ এপ্রিল (হি.স.) : 'এক নেতা এক দেশ, এক নেতা একটাই খাবার। বলছে মাছ খাবেন না খবরদার। মাংস খাবেন না খবরদার। ডিম খাবেন না। খবরদার, যা বলবে তা শুনতে হবে?” শনিবার মালদায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রকে এভাবেই আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাজোলের মহাবিদ্যালয়ের মাঠে তিনি এদিন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা করেন।

মমতা বলেন, “কে কী বলবে তা আপনারা কেন শুনবেন? আমাদের এখানে মায়েরা নীল ষষ্ঠী, শীতলা ষষ্ঠী করে না! সেদিন কি তাঁরা উপোস করে না! উত্তরপ্রদেশে বন্ধ করে দিয়েছে, রাজস্থানে শুনেছি বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলায় কিছু করতে পারে না কেন জানেন? কারণ এখানে আমি আপনাদের জন্য রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আছি। এখানে হাত ছোঁয়াতে দেব না।” দিল্লিতে সরকার গড়ার হুংকার শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তিনি বলেন, 'কর্মশ্রী, জব কার্ড হোল্ডারদের ৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দিলাম। আর কেউ যদি তাঁর বেশি করতে চান ৬০ দিনও করুন। এটা রাজ্য সরকার করবে। দিল্লি করবে না। এটা আমরা থাকলে হবে, দিল্লি থাকলে হবে না। দিল্লিতে আমাদের সরকার আসবে, বিশ্বাস রাখুন।'এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কাউকে কাউকে বলছে অনেক টাকা দেব। কাউকে বলছে পাঁচ কোটি দেব, কাউকে বলছে দশ কোটি দেব। তুই সাইলেন্ট থাক। আর ভোটটা আমার হয়ে করে নে। না হলে সিবিআই-ইডি ধরবে। ওরা তো ক্ষমতাতেই আসবে না। বাংলায় ২০২১-এর নির্বাচনের আগে বিজেপি কী বলেছিল? ইস বার ২০০ পার, ১০০-ও পার করতে পারেনি।'তাঁর সংযোজন, 'মালদা একটা বর্ধিষ্ণু এলাকা। মালদার থেকে শুধু ভোট নিয়ে গিয়েছে। বরকতদাকে শ্রদ্ধা করি। তিনি যতদিন ছিলেন আমাদের আপত্তি ছিল না। খগেন মুর্মুকে জিজ্ঞাসা করুন, মালদার মানুষ যখন বিপদে পড়েন তিনি কোথায় ছিলেন?'

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande