বিকশিত ছত্তিশগড়ের জন্য আশীর্বাদ পেতে এসেছি, জাঞ্জগীর-চাম্পা এবং মহাসমুন্দে আয়োজিত বিশাল জনসভা থেকে মোদী
চাম্পা, ২৩ এপ্রিল (হি.স.) : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের জাঞ্জগ
বিকশিত ছত্তিশগড়ের জন্য আশীর্বাদ পেতে এসেছি, জাঞ্জগীর-চাম্পা এবং মহাসমুন্দে আয়োজিত বিশাল জনসভা থেকে মোদী


চাম্পা, ২৩ এপ্রিল (হি.স.) : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের জাঞ্জগীর-চাম্পা এবং মহাসমুন্দে আয়োজিত বিশাল বিজয় সংকল্প শঙ্খনাদ জনসভায় বক্তব্য দিয়েছেন এবং কংগ্রেসকে দলিত ও আদিবাসী বিরোধী বলে অভিহিত করে ইন্ডি জোটকে নিশানা করেছেন। এই কর্মসূচিতে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিষ্ণু দেব সাই, ছত্তিশগড়ের অর্থমন্ত্রী শ্রী ওপি চৌধুরী, রায়গড় লোকসভা প্রার্থী শ্রী রাধেশ্যাম রাথিয়া, জাঞ্জগীর-চাম্পা লোকসভা প্রার্থী শ্রীমতি কমলেশ জাংদে, রায়পুর লোকসভা প্রার্থী শ্রী ব্রিজমোহন আগরওয়াল, মহাসমুন্দ লোকসভা প্রার্থী শ্রীমতি রূপ কুমারী চৌধুরী, কাঙ্কের লোকসভা প্রার্থী শ্রী ভোজরাজ নাগ সহিত অন্যান্য নেতাগন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে কয়েক মাস আগে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে ছত্তিশগড়ের মানুষ বিজেপিকে তাদের আশীর্বাদ দিয়েছে। আমি বিকশিত ভারত ও বিকশিত ছত্তিশগড়ের জন্য আশীর্বাদ পেতে আপনাদের মাঝে এসেছি। গত ১০ বছরে দেশ অনেক এগিয়েছে, কিন্তু এখনো অনেক কাজ বাকি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জনগণকে শুধু সাংসদ নির্বাচনই নয়, তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যতও বেছে নিতে হবে। ছত্তিশগড়ের আগের সরকার রাজ্যে মোদী সরকারের অনেক কাজ সম্পন্ন করতে দেয়নি, তবে শ্রী বিষ্ণুদেব সাই জির সরকারকে সাথে নিয়ে আটকে থাকা কাজগুলি সম্পন্ন হবে। মোদী গত ১০ বছরে কোনো ছুটি না নিয়ে দেশের মানুষের সেবা করেছেন। বাকিরা তাদের সন্তান এবং পরিবারের জন্য কাজ করে, কিন্তু মোদীর জন্য, দেশের মানুষ তার পরিবার। ছত্তিশগড়ের জনগণকে ৭ই মে মোদী ও বিজেপির পক্ষে ভোট দিতে হবে যাতে মোদী আপনাদের জন্য দিনরাত কাজ করতে পারেন। ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে দেশের মানুষ একটি শক্তিশালী সরকার গঠনের জন্য বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে, ই্ন্ডি জোটে এখনও টালমাটাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঝাড়খণ্ডে অনুষ্ঠিত ইন্ডি জোটের সমাবেশে লোকেরা একে অপরের মাথায় আঘাত করে এবং তাদের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। ইন্ডি জোটের প্রথম সমাবেশে উপস্থিত থাকা অর্ধশতাধিক নেতা তাদের শেষ সমাবেশে উধাও হয়ে যান। কংগ্রেসের অবস্থা এতটাই খারাপ যে খোদ ধনী পরিবারের লোকেরা দিল্লিতে কংগ্রেসকে ভোট দিতে পারবে না, কারণ ধনী পরিবারের লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী নেই। যাদের ওপর দিল্লিও আস্থা হারিয়েছে তাদের ওপর ছত্তিশগড় কীভাবে আস্থা রাখতে পারে, কিন্তু দেশের মানুষের ওপর আমার অটুট বিশ্বাস আছে, এই বিশ্বাসের কারণেই পুরো ছত্তিশগড় আবারও মোদী সরকারের স্লোগান দিচ্ছে।

তোষণের রাজনীতিতে লিপ্ত হওয়ার জন্য কংগ্রেসকে আক্রমণ করে শ্রী মোদীজি বলেছিলেন যে ছত্তিশগড়ে ইস্পাত শক্তি, কয়লার শক্তি এবং বন সম্পদের মজুদ রয়েছে। ছত্তিশগড়ের বিকশতি ভারতের দিকে যাত্রা ত্বরান্বিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। রামনামী সমাজ তাদের ভক্তি, ভজন, শ্রী রামের প্রতি নিজেকে সমর্পন এবং প্রকৃতির প্রতি ভালবাসার জন্য পরিচিত। রামনামি সমাজ ১৫০ বছর আগে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল কোন দিনে রাম মন্দিরের প্রাণ-প্রতিষ্ঠা হবে। যার আশা দেশের মানুষ ভুলে গিয়েছিল সেই মন্দিরের কাজ শেষ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কংগ্রেস নেতারা প্রতিদিন বিজেপিকে কটূক্তি করতেন এবং বলতেন সেখানে মন্দির তো তৈরি হবে, কিন্তু তারিখ তৈরি হবে না। বিজেপিও রাম মন্দিরের প্রা-প্রতিষ্ঠার জন্য কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে, তারিখ ও সময় জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস তার দাম্ভিকতায় প্রাণ-প্রতিষ্ঠার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে। কংগ্রেসের প্রাণ-প্রতিষ্ঠার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করা সাধু, মাতা শবরী এবং ভগবান শ্রী রামের মাতৃ জন্মস্থান ছত্তিশগড়ের অপমান। ধর্মের নামে দেশকে বিভক্তকারী কংগ্রেস স্বাধীনতার প্রথম দিন থেকেই তোষণের কাজে লিপ্ত ছিল। তোষণ এবং ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি কংগ্রেসের ডিএনএ-তে রয়েছে। তোষণ করার জন্য, কংগ্রেস দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নিতে এক মুহূর্তও দেরি করবে না, যেখানে বিজেপি এমন একটি দল যা সবকা সাথ, সবকা বিকাশের মন্ত্রে চলে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, বিজেপির অগ্রাধিকার হল দরিদ্র, যুবক, মহিলা এবং কৃষকদের কল্যাণ। কংগ্রেস ৬০ বছর ধরে দারিদ্র্য দূর করার স্লোগান দিয়েছিল, কিন্তু মোদী দরিদ্রদের কথা ভেবেছেন। গরিবদের কল্যাণের জন্য বিজেপির নীতি ও উদ্দেশ্য দুটোই ঠিক। উদ্দেশ্য সঠিক হলে তার ফলাফলও ঠিক হয়। কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে দিল্লি থেকে ১ টাকা পাঠানো হলে প্রকৃত লোকেরা মাত্র ১৫ পয়সা পায়, আর ৮৫ পয়সা দুর্নীতিতে নষ্ট হয়। কিন্তু তারপরও কংগ্রেস সরকার এই ব্যবস্থা বদলাতে কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়নি। মোদী সরকারে আসার সাথে সাথে তার লুটপাট বন্ধ করে দিয়েছে। বিজেপি সরকার দেশে ১৫০ কোটিরও বেশি জন ধন অ্যাকাউন্ট খুলেছে। গত ১০ বছরে, মোদী সরকার ৩৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ সরাসরি জনসাধারণের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে। বিজেপি সরকার দেশের ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার উপরে নিয়ে এসেছে। মোদী সরকারের গত ১০ বছরের ট্র্যাক রেকর্ড হল যে আমরা যা বলি তা পূরণ করতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করতে পিছপা হই না। মোদী সরকার প্রতিটি প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়ন করেছে। জলের সরবরাহ থাকার পরও ছত্তিশগড়ে কম ধান হতো, কারণ কম ধান কেনা হতো, ধানের দাম কম ছিল এবং সময়মতো টাকা পাওয়া যেতনা। কিন্তু শ্রী বিষ্ণুদেব সাঁইজির নেতৃত্বে ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই এই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। রাজ্যের বিজেপি সরকার ২ বছরের ধান কেনার বকেয়া অর্থ পরিশোধ করেছে এবং রেকর্ড এমএসপিতে একর প্রতি ধান ক্রয়ও করেছে। বিজেপি সরকার গঠনের কিছু সময়ের মধ্যেই ধান চাষিদের ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে। ছত্তিশগড়ে তেঁতুল সংগ্রহকারীদের দেওয়া গ্যারান্টিও পূরণ করা হয়েছে। ছত্তিশগড়ের মহিলারাও মাহতারি বন্দন যোজনা থেকে টাকা পাচ্ছেন। দেশের কোটি কোটি কৃষকের কাছে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির মাধ্যমে ৩ লক্ষ কোটি টাকা পৌঁছে দিয়েছে মোদী সরকার। ভবিষ্যতেও দেশবাসীকে এই সম্মান নিধি দেওয়া অব্যাহত থাকবে এটাই মোদীর গ্যারান্টি। যতদিন দেশে বিজেপি সরকার থাকবে ততদিন জনগণের টাকা মানুষের কাছে পৌঁছতে থাকবে।

শ্রী মোদী বলেন যে বিজেপি সরকার কৃষিকাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ড্রোনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে এবং নমো দিদি প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের ড্রোন পাইলট হিসাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ছত্তিশগড়ের মাহতারি বন্দন যোজনার আওতায় লক্ষাধিক মহিলা সরাসরি সাহায্য পাচ্ছেন। মোদী সরকার ছত্তিশগড়ে ৫টি নতুন মেডিকেল কলেজ এবং প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। বেলসুন্দা-রায়পুরের মধ্যে রেললাইন বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যে একটি অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি করা হচ্ছে এবং হাইওয়ে উন্নত করা হচ্ছে। এর বাইরে ৩ কোটি নারীকে লাখপতি দিদি বানানোর নিশ্চয়তা দিয়েছেন মোদীজি। নমো ড্রোন দিদি প্রচারাভিযানের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত লক্ষ লক্ষ মহিলা সরাসরি সুবিধা পাবেন। জাঞ্জগীর-চাম্পায়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে প্রায় ৫০ হাজার পাকা বাড়ি তৈরি করা হয়েছে, হর ঘর জলের অধীনে প্রায় ২ লক্ষ নতুন জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে এবং উজ্জ্বলা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৩ লক্ষ মহিলাকে উজ্জ্বলা গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। মোদীর কাছে দেশের মানুষই তাঁর পরিবার। প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশন আগামী আরও ৫ বছরের জন্য দেওয়ার এবং ৭০ বছরের বেশি বয়সী প্রত্যেক বয়স্ক ব্যক্তিকে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের আমলে আদিবাসী এলাকায় পরিকাঠামোর জন্য কোনো কাজ হয়নি। মোদীর গ্যারান্টি হল ৪ জুন তৃতীয়বারের মতো বিজেপি সরকার গঠনের পর রাজ্যে রাস্তা, রেল, সেচ এবং ইন্টারনেট সংযোগ আরও দ্রুত প্রসারিত হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন শুধুমাত্র উন্নয়নকে ব্যাহত করার কাজ করেছে। কংগ্রেস ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলতে পারে না। যেখানেই কংগ্রেস সরকারে ছিল, সেখানেই হিংসা ও দুর্নীতি চরমে পৌঁছেছিল। কংগ্রেসের শাসনকালে উত্তর-পূর্বর রাজ্যগুলিতে হিংসার ঘটনা কমেনি এবং ছত্তিশগড়ে মাওবাদী ও নকশালদের আধিপত্য বাড়তে থেকেছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে দুর্নীতি ও হিংসার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মানুষের প্রাণ যায়, কিন্তু কংগ্রেস হিংসার প্রচার করে তার কোষাগার পূরণ করতে থাকে। বিজেপি সরকার ছত্তিশগড় থেকে নকশালবাদ কমাতে কাজ করেছে। এটাই মোদীর গ্যারান্টি যে রাজ্য থেকে মাওবাদ ও নকশালবাদ পুরোপুরি নির্মূল হবে।

শ্রী মোদী বলেন যে ২০১৪ সালের আগে কংগ্রেস প্রায় ৬০ বছর সরকারে ছিল। কিন্তু কংগ্রেস কখনোই দলিত, পিছিয়ে পড়া মানুষ ও আদিবাসীদের উন্নয়ন করতে চায়নি। কিন্তু ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার গঠনের পর, দলিত পরিবারের সন্তান শ্রী রামনাথ কোবিন্দ জিকে দেশের রাষ্ট্রপতি করা হয় এবং স্বাধীনতার পর প্রথমবার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলা শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দেশের রাষ্ট্রপতি করা হয়। কিন্তু কংগ্রেস আদিবাসী মহিলার রাষ্ট্রপতি হওয়ার বিরোধিতা করেছিল ও তাঁকে অপমান করেছিল। প্রথমে কর্ণাটকের কংগ্রেস সাংসদ দক্ষিণ ভারতকে আলাদা দেশ করার কথা বলেছিলেন এবং এখন গোয়া থেকে কংগ্রেস প্রার্থী বলছেন যে ভারতের সংবিধান গোয়ার জন্য প্রযোজ্য নয় এবং গোয়ার উপর দেশের সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা বাবা সাহেব আম্বেদকর এবং ভারতের সংবিধানের অপমান। আগে জম্মু ও কাশ্মীরের নেতারাও একই কথা বলতেন, কিন্তু মোদী ৩৭০ ধারা বাতিল করেছেন এবং জম্মু ও কাশ্মীরেও ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়েছে। গোয়ার ওই কংগ্রেস প্রার্থী স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তিনি কংগ্রেস যুবরাজকে এটি জানিয়েছেন এবং রাহুল গান্ধীর এই ব্যাপারে নীরবতার অর্থ হল তিনি এই বক্তব্যকে সমর্থন করছেন। কংগ্রেসকে দেশের একটা বড় অংশ প্রত্যাখ্যান করেছে। আজ কংগ্রেস গোয়াতে সংবিধান প্রত্যাখ্যানের কথা বলছে, আগামীকাল তারা সারাদেশে সংবিধান প্রত্যাখ্যান করার কথা বলবে। কংগ্রেস জানে না কীভাবে গরিবদের কল্যাণ করতে হয়। কংগ্রেসের শাসনকালে একজন ব্যক্তি ইংরেজি না পড়লে সে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা বিজ্ঞানী হতে পারত না। কিন্তু মোদী এসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে এখন যে কোনও ব্যক্তি তার মাতৃভাষায় পড়াশোনা করে তার কাঙ্ক্ষিত ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, মোদী যখন স্বনির্ভর ভারত সম্পর্কে কথা বলেন তখন কংগ্রেস এই বিষয়টি অস্বীকার করে। মোদী ছত্তিশগড়ের কোসা সিল্ককে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি দেওয়ার জন্য নিবেদিত, তাই আমি লোকাল ফর ভোকাল নিয়ে কথা বলি। ছত্তিশগড়ের জন্য মোদী সরকার ১৩ হাজার কোটি টাকার একটি বিশ্বকর্মা প্রকল্প করেছে। ছত্তিশগড়ের সবচেয়ে অনগ্রসর উপজাতিদের উন্নতির জন্য প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী জনমন যোজনা প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিজেপি অনগ্রসর জাতি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দিয়েছে এবং চিকিৎসা, শিক্ষায় ওবিসি সংরক্ষণ বাস্তবায়ন করেছে। আমি বলি দুর্নীতি দূর কর, তারা বলে দুর্নীতিবাজদের বাঁচাও।

শ্রী মোদী বলেন যে কংগ্রেস গত ৩০ বছর ধরে বলছে, বিজেপি সংবিধান পরিবর্তন করবে। কিন্তু সত্য হল, মোদী কেন, বাবা সাহেব আম্বেদকর নিজেও সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবেন না। ইন্ডি জোটকে দেওয়া ভোটে তারা কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে পারবে না। কিন্তু বিজেপি ও এনডিএকে দেওয়া ভোট একটি বিকশিত ভারত গড়ে তুলবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি জনগণের কাছে আবেদন করেন, বিজেপির প্রার্থীদের ভোট দিয়ে আবারও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে মোদী সরকার গঠনের এবং একটি বিকশিত ভারত গঠনে অবদান রাখার।

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিত/ সোনালি




 

 rajesh pande