শান্তি রায় চৌধুরী:
কলকাতা, ২৩ এপ্রিল (হি.স.): বুধবার ৫১ বছরে পা রাখবেন বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভারতীয় এই ব্যাটিং কিংবদন্তি।ব্যাট হাতে সেই স্কুল জীবন থেকেই নজর কেড়েছিলেন ভারতের এই ব্যাটিং দেবতা।শচীন ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল শচীনের।এর পরের গল্পটা তো সবারই জানা। ক্রিকেট অভিধানের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের নামের পাশে যোগ করে 'লিটল মাস্টার' উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।ক্রিকেট ইতিহাসে গ্রেট ব্যাটসম্যানদের অভাব নেই। ভিন্ন ভিন্ন তারকা ব্যাটসম্যানদের দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু শচীনের মত ব্যাটসম্যানের দেখা মিলেছে একবারই। ব্যাট প্যাড তুলে রাখার ঘোষণা করার আগে শচীন নিজেকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন অন্য ব্যাটসম্যানদের চোখে তা স্রেফ স্বপ্ন! ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে অভিষেক হওয়ার পর থেকে অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত টেস্ট শচীন খেলেছেন ২০০টি। যাতে ৫৩.৭৮ গড়ে রান করেছেন ১৫৯২১। ৫১টি শতক ও ৬৮টি অর্ধশতকে এই রান করেন লিটল মাস্টার সর্বোচ্চ ২৪৮ রান।হাত ঘুরিয়ে উইকেটে নিয়েছেন ৪৬ টি টেস্টের তুলনায় শচীনের ওয়ানডে ক্যারিয়ার ছিল আরো বর্ণাঢ্য।ক্যারিয়ারে একদিনের ম্যাচ খেলেছেন ৪৬৩টি।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যা সর্বোচ্চ। ৪৪.৮৩ গড়ে রান করেছেন ১৮৪২৬। ৪৯ টি শতক ও ৯৬ টি অর্ধশতকে এই রান করেছেন। শচীন ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি (২০০*)এসেছে তার ব্যাট থেকেই। ওয়ানডেতে বল হাতেও ছিলেন বেশ উজ্জ্বল।কেরিয়ারে তার ওয়ানডে উইকেটে সংখ্যা১৫৬ টি। টেস্ট ও ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিতে সবার উপরে টেন্ডুলকার।২০১২ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরির বিরল কীর্তি গড়েন শচীন। ক্রিকেট ইতিহাসে এই রেকর্ড কখনো ভাঙবে কিনা সন্দেহ।কেরিয়ারে মোট ছয়টি বিশ্বকাপ খেলেছেন শচীন।তাঁর সর্বশেষ বিশ্বকাপ অর্থাৎ ২০১১ সালে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতে ক্যারিয়ারের প্রাপ্তির খাতাটা ষোলকলায় পূর্ণ করেন ভারতের এই ব্যাটিং কিংবদন্তি।২০১২ সালে ওয়ানডে ও ২০১৩ সালের টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় জানান শচীন।
হিন্দুস্থান সমাচার / শান্তি