(রাউন্ড আপ) বেলাগাভি, উত্তরা কন্নড় এবং দাভাঙ্গেরে আয়োজিত বিশাল জনসভা থেকে রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ মোদীর
বেলাগাভি, ২৮ এপ্রিল (হি.স.): মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, রবিবার কর্ণাটকের বেলাগাভি, উত
(রাউন্ড আপ) বেলাগাভি, উত্তরা কন্নড় এবং দাভাঙ্গেরে আয়োজিত বিশাল জনসভা থেকে রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ মোদীর


বেলাগাভি, ২৮ এপ্রিল (হি.স.): মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, রবিবার কর্ণাটকের বেলাগাভি, উত্তরা কন্নড় এবং দাভাঙ্গেরে আয়োজিত বিশাল জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময়, কংগ্রেসের বিভাজনকারী মানসিকতার জন্য এবং রাজা ও মহারাজাদের সম্পর্কে তার অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করার জন্য রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ করেন। এই কর্মসূচিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বি এস ইয়েদিউরপ্পা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও হাভেরির প্রার্থী শ্রী বাসভরাজ বোমাই, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ধারওয়াড়ের প্রার্থী শ্রী প্রহ্লাদ জোশী, বেলগাভির প্রার্থী শ্রী জগদীশ শেত্তার, চিক্কোড়ির প্রার্থী শ্রী আন্না সাহেব শঙ্কর জোলে, উত্তর কন্নড়ের প্রার্থী শ্রী বিশ্বেশ্বর হেগড়ে। কাগেরি, দাভাঙ্গেরের প্রার্থী শ্রীমতি গায়ত্রী সিদ্ধেশ্বরা এবং অন্যান্য নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

মোদীজি বলেন, যে আমরা সকলেই ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ এবং ভগবান বসবেশ্বরে বিশ্বাসী মানুষ। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ একটি শক্তিশালী ভারত গড়তে সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। ভগবান বসবেশ্বর অনুভব মন্ডপম থেকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন। গত ১০ বছরে ভারত শক্তিশালী হয়েছে এবং দেশের মানুষ এতে গর্বিত। আজ ভারত গণতন্ত্রের মা হিসেবে স্বীকৃত। গত ১০ বছরে, ভারতের ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে এসেছে, যা প্রতিটি দেশবাসীর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ভারতের উন্নতি হলে প্রত্যেক ভারতীয় খুশি হয়, কিন্তু কংগ্রেস দেশের স্বার্থ থেকে এতটাই দূরে, পরিবারের স্বার্থে এতটাই জড়িয়ে পড়েছে যে দেশের সাফল্য পছন্দ করে না। কংগ্রেসও এইচএএল নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। কংগ্রেসও করোনার সময় ভারতে তৈরি ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল এবং এর নাম দিয়েছিল বিজেপি ভ্যাকসিন। এখন কংগ্রেস ভারতের প্রতিটি সাফল্যে লজ্জিত। আজ, কংগ্রেস ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছে এবং সারা বিশ্বে ভারতের গণতন্ত্রকে হেয় করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট কংগ্রেস এর তার পুরো গোষ্ঠীকে কড়া জবাব দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কার নির্দেশে দেশের জন্য ক্ষতিকর মিথ্যা কথা প্রচার করে কংগ্রেস জনগণের আস্থা ভাঙছে? গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মিথ্যাচার করে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের উচিত গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে কংগ্রেসের দলাদলি শীঘ্রই জনগণের কাছে প্রকাশ হতে চলেছে এবং সমস্ত দলগুলিকে পরাজয়ের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করতে দেখা যাবে। দেশের ২৮০ কোটি চোখ গত ১০ বছর ধরে মোদীকে দেখে ঠিক কী, ভুল কী সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং আজ এই চোখ জানে যে আজকের মোদীই সেই মোদী যিনি জনগণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করবেন। দেশবাসীর কাছে এটাই মোদীর গ্যারান্টি যে তিনি কখনই ক্লান্ত হবেন না, তিনি কখনও থামবেন না এবং তিনি কখনও মাথা নত করবেন না। খারাপ নীতির কারণে কংগ্রেস কর্ণাটকের যুবক ও মহিলাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। ইন্ডি জোটের কাছে দেশ পরিচালনা করার জন্য কোনো নাম নেই, সে কারণেই প্রতিবছর নতুন প্রধানমন্ত্রীর ফর্মুলা নিয়ে বেরিয়েছে এই জোট। দেশের জনগণ তাদের ভোট নষ্ট করতে পারে না। কর্ণাটকে নতুন শিক্ষানীতি নিষিদ্ধ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস দেশে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির পাপ করেছে। প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী নিজেই বলতেন যে সরকার থেকে পাঠানো ১০০ পয়সার মধ্যে মাত্র ১৫ পয়সা সুবিধাভোগীকে পাঠানো হয়। কংগ্রেস সরকারে, ১০ কোটি এমন সুবিধাভোগীকে সুবিধা দেওয়া হয়েছিল যারা কখনও জন্মগ্রহণ করেননি এবং বিজেপি এই নামগুলি মুছে ফেলে দুর্নীতির অবসান ঘটিয়েছে, আজ পুরো সুবিধাটি সরাসরি ডিবিটি-এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। কংগ্রেসের কর্ণাটক সরকার এসসি, এসটি কল্যাণ তহবিলের ১১ হাজার কোটি টাকা অন্য কোনও খাতে বিতরণ করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে গত ১০ বছরে, বিজেপি এবং এনডিএ সরকারগুলি দেশের নাগরিকদের জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য অনেক কাজ করেছে, যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। এখন পর্যন্ত কংগ্রেস পার্টি মানসিকভাবে ব্রিটিশদের দাস ছিল, কংগ্রেস নেতারা তেরঙ্গা তুলে স্বাধীনতার কথা বলতেন কিন্তু প্রতিটি আইন-শৃঙ্খলায় তারা মানসিকভাবে ব্রিটিশদের দাস ছিল। ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার দাসত্বের সময় থেকে অনুপ্রাণিত প্রাক-স্বাধীনতা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে সরিয়ে দেয় এবং এখন ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় শাস্তি নয়, নাগরিকদের ন্যায়বিচার প্রদানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এতে সন্ত্রাস সংক্রান্ত আইনও আগের চেয়ে আরও কঠোর করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক সাক্ষ্য সংক্রান্ত ভারতীয় সাক্ষ্য আইনে নতুন বিধান আনা হয়েছে। ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার পরে, এই সংহিতা দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য খুব সহায়ক হতে চলেছে, তবে কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পুরো রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

মোদী বলেন, যে বেলগাভিতে এক আদিবাসী বোনের সাথে যা ঘটেছে, চিক্কোডিতে একজন জৈন সন্ন্যাসীর সাথে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। সম্প্রতি, হুবলির কলেজ ক্যাম্পাসে একটি মেয়ের সাথে যা ঘটেছিল তা সারা দেশ কাঁপিয়ে দিয়েছে। সেই মেয়ের পরিবার বিচার দাবি করতে থাকে কিন্তু কংগ্রেস সরকার তোষণ ছাড়া কোনও কিছুই করেনি। কংগ্রেসের কাছে নেহার মতো কন্যাদের কোনও মূল্য নেই, কংগ্রেস কেবল তার ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে চিন্তিত। এমনকি যখন বেঙ্গালুরুতে একটি ক্যাফেতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল, কংগ্রেস প্রাথমিকভাবে এটি নিয়ে কোনও গুরুতর পদক্ষেপ নেয়নি। কংগ্রেস বলেছে এখানে শুধু গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেছে। কংগ্রেসেকে জবাব দিতে হবে কেন জনগণের চোখে ধুলো দিচ্ছে? আইনশৃঙ্খলা বজায় না থাকলে কংগ্রেসের রাজনীতি থেকেও পদত্যাগ করা উচিত। কংগ্রেস শুধু একটি আসন জেতার জন্য পিএফআই এবং এসডিপিআই-এর মতো দেশবিরোধী ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে সমর্থন করছে। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার পিএফআই-এর মতো সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। কংগ্রেস আমাদের ইতিহাস এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম লিখেছে শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্ক এবং তোষণের দৃষ্টিকোণ থেকে এবং আজও কংগ্রেসের যুবরাজরা একই পাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে কংগ্রেস যুবরাজের বক্তব্য ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি এবং তোষণের রাজনীতির জন্যই ভেবেচিন্তে দেওয়া একটি বক্তব্য। কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতির মানসিকতা তাদের ইস্তেহারেও প্রতিফলিত হয়েছে। রাহুল গান্ধী তার ভোটব্যাঙ্ক এবং তোষণের রাজনীতির জন্য দেশের রাজা ও সম্রাটদের অসম্মান করেন, কিন্তু ভারতে যেসব নবাব, নিজাম, সুলতানরা নৃশংসতা চালিয়েছিল তাদের কথা বলার সময় যুবরাজের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। কংগ্রেস ঔরঙ্গজেবের নৃশংসতার কথা মনে রাখে না। দেশের শত শত মন্দির ধ্বংস করা ঔরঙ্গজেবকে মহিমান্বিত করা দলের সাথে জোট বাঁধে তারা। কংগ্রেস সেইসব হানাদারদের মনে রাখে না যারা সারা দেশে লুটপাট চালিয়েছিল ও হত্যা করেছিল, কংগ্রেস সেই নবাবদের মনে রাখে না যারা ভারত ভাগে বড় ভূমিকা রেখেছিল। কংগ্রেসের যুবরাজ যখন রাজা-মহারাজাদের কটাক্ষ করেন তাদের মনে রাখা উচিত যে বেনারসের রাজা বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, রাণী অহল্যাবাই হোলকার মন্দিরগুলি পুনর্গঠন করে আমাদের বিশ্বাস অটুট রেখেছিলেন এবং বরোদার মহারাজা বাবা সাহেব আম্বেদকরের প্রতিভা বুঝতে পেরে তাঁকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।।কংগ্রেসের যুবরাজ এই রাজা-সম্রাটদের অবদানের কথা মনে রাখেন না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ গোটা দেশ বুঝতে পেরেছে যে যেখানেই কংগ্রেস এসেছে, সেখানেই ক্ষতি হয়েছে। কর্ণাটকে বিজেপি সরকারের আমলে ভারতের প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের একটি বড় অংশ কর্ণাটকে আসত। কিন্তু কংগ্রেস সরকার গঠনের পর সমস্ত রাস্তা ও সেচের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য শিল্পক্ষেত্র ও জনসাধারণ অসুবিধার মধ্যে পড়েছে। ক্ষুদ্র কৃষকদের একত্রিত করতে, এনডিএ সরকার এফপিও, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং সমবায় গোষ্ঠী সহ তিনটি ব্যবস্থার উপর জোর দিচ্ছে। বিজেপির আমলে সারা দেশে ৮০০০টি নতুন কৃষক সংঘ গঠিত হয়েছে। বিজেপি সরকার পেট্রোলে ইথানলের পরিমাণ বাড়ানোর ফলে আখ চাষিরা ৭০ হাজার কোটি টাকারও বেশি আয় করেছে। চিনিকলের বকেয়া পাওনা সমস্যারও সমাধান হচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেস কৃষকদের সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তা বড় অন্যায়। কর্ণাটকে বিজেপি সরকারের আমলে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হতো, কিন্তু কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে রাজ্যের দেওয়া ৪ হাজার টাকা বন্ধ করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে মোদী যে ৬ হাজার টাকা পাঠান, এখন কৃষকরা সেটাই পান। ২০১৪ সাল পর্যন্ত কর্ণাটকে মাত্র ২৪টি জাতীয় সড়ক ছিল কিন্তু আজ তাদের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ হয়েছে। দাওনগেরে এবং হরিহরা রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে।

শ্রী মোদী বলেন যে জেলেদের জন্য একটি বন্দরও তৈরি করা হচ্ছে। এটি বিজেপি সরকারের প্রচেষ্টার ফল যে এই অঞ্চলটি একটি আইআইটি, আধুনিক সুবিধা সহ একটি রেলস্টেশন পেয়েছে। বিজেপি সরকার ঐতিহ্যের পাশাপাশি বিকাশের মন্ত্র নিয়ে কাজ করে। যখন শক্তিশালী সরকার থাকে তখন বিশ্বও তার ওপর আস্থা রাখে। আজ বিজেপি সরকারের অধীনে, সারা বিশ্বে ভারত মহিমান্বিত হচ্ছে। জনগণের মূল্যবান ভোটের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। কারণ একটা ভোটের কতটা শক্তি সেটা এই ১০ বছরে ভারতের জনগণ দেখেছেন। আজ মোদী সরাসরি বিশ্বের অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আমাদের পূর্বপুরুষরা রামমন্দির নির্মাণের জন্য ৫০০ বছর ধরে লড়াই করেছেন এবং তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আজ অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের বিশাল মন্দিরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং রামলালা সেই বিশাল মন্দিরে অধিষ্ঠিত। কংগ্রেস তোষণ এবং ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য রাম মন্দির নির্মাণে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণও প্রত্যাখ্যান করে। অযোধ্যার আনসারি পরিবার সারাজীবন রাম মন্দিরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা লড়েছে। কিন্তু আদালত যখন বলেছিল যে ওখানে শুধুমাত্র রাম মন্দির তৈরি হবে, তখন পুরো আনসারি পরিবারও রামলালার কাছে নিজেদের সমর্পণ করে। বিজেপি সরকার সারা বিশ্বে আয়ুর্বেদের প্রচার করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি সরকার একটি পৃথক আয়ুষ মন্ত্রক গঠন করেছে। কর্ণাটকের বিখ্যাত সিরসি সুপারিও বিজেপি সরকারের অধীনে জিআই ট্যাগ পেয়েছে। আজ সারা বিশ্বে জোয়ার ও বাজরার ব্যবহার বেড়েছে এবং এর সুফল সরাসরি কর্ণাটক ও দেশের কৃষকদের কাছে পৌঁছেছে। বিজেপি সরকার এই অঞ্চলের মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজেপি সরকারের অধীনে প্রথমবারের মতো, মৎস্য চাষের জন্য একটি পৃথক মন্ত্রক গঠন করা হয়, মৎস্য চাষের জন্য ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ২০ হাজার কোটি টাকার মৎস্য সম্পদ যোজনা করা হয়েছিল এবং বিজেপি তার সংকল্প পত্রে জেলেদের গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেছে। মাছ ধরার জন্য একটি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ ক্লাস্টার তৈরিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যার সুফল সরাসরি মৎস্যজীবীরা পাবেন।

শ্রী মোদী বলেন যে কর্ণাটকে জনগণ কংগ্রেসকে তাদের অন্যায়ের শাস্তি দেবে। এটি মোদীর গ্যারান্টি যে এখানকার মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের সব সুবিধা পেতে থাকবে। মোদী গ্রাম উন্নয়ন, কৃষক, যুব ও নারী শক্তির ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জনগণের সম্পদ বৃদ্ধিতে নিয়োজিত। কিন্তু কংগ্রেসের যুবরাজ জনগণের সম্পদের সমীক্ষা করার কথা বলছেন, তা নিয়ে তাদের ভোটব্যাঙ্কের লোকেদের দিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন। দেশের মানুষ তাদের কষ্টার্জিত সম্পদ লুট হতে দেবে না। যতদিন মোদী বেঁচে থাকবে ততদিন কংগ্রেস এই পরিকল্পনায় সফল হবে না। কংগ্রেস উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতেও কর আরোপের ঘোষণা করেছে। প্রত্যেক পিতা-মাতা তাদের সন্তানদের জন্য কিছু সম্পত্তি বা সঞ্চয় করা অর্থ রেখে যান। কংগ্রেস তার উপরও ৫৫ শতাংশ কর আরোপের কথা বলছে। নিজের ভোটব্যাঙ্ককে তোষণ করতে কংগ্রেস দেশের বাকি জনগণের সম্পত্তি লুট করতে চায়। ডঃ মনমোহন সিং বলেছিলেন যে দেশের সম্পদের উপর প্রথম অধিকার একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের। এই ধরনের চিন্তাভাবনাই কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে বিজেপি কিত্তুর রানী চেন্নামার থেকে অনুপ্রেরণা নেয়, তাই এনডিএ সরকার মহিলাদের জন্য সেনাবাহিনীর প্রতিটি ক্ষেত্র খুলে দিয়েছে। আমাদের মেয়েরাও এখন সামরিক স্কুলে পড়তে পারছে। বিজেপি সরকারের নীতির কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে নারীর সংখ্যা এখন দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। দেশের মানুষের স্বপ্নই মোদীর স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে মোদীর প্রতি মুহুর্ত দেশের জন্য নিয়োজিত। ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে ২৪x৭ কাজ করছেন মোদী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত জনতার কাছে স্থানীয় বিজেপি প্রার্থীদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে বিজয়ী করে দেশে আবার মোদী সরকার গঠন করার এবং একটি বিকশিত ভারত গড়তে অবদান রাখার আবেদন জানিয়েছেন।

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ / সোনালি




 

 rajesh pande