সাব্রুম কলেজে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত রেশম শিল্প বিষয়ক কর্মশালা
সাব্রুম (ত্রিপুরা), ৩০ এপ্রিল (হি.স.) : মঙ্গলবার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুমের মাইকেল মধুসূদন দত্ত
সাব্রুম কলেজে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত রেশম শিল্প বিষয়ক কর্মশালা


সাব্রুম (ত্রিপুরা), ৩০ এপ্রিল (হি.স.) : মঙ্গলবার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুমের মাইকেল মধুসূদন দত্ত কলেজ এবং হস্ততাঁত , হস্তকারু এবং রেশম শিল্প দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে রেশম শিল্প বিষয়ক একদিবসীয় কর্মশালা কলেজের হলঘরে অনুষ্ঠিত হয় ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকার উপস্থিতিতে।

রেশম এক ধরনের প্রাকৃতিক প্রোটিন তন্তু যার কয়েকটি ধরন বস্ত্রশিল্প বয়নের কাজে ব্যবহার করা হয়। রেশমের সর্বাধিক পরিচিত ধরন বোমবিক্স মোরি বা তুঁত রেশম নামের রেশম পোকার লার্ভার গুটি থেকে সংগ্রহ করা হয়। প্রায় ২০০০ বছর আগে চীনে সর্বপ্রথম রেশম চাষ শুরু হয়েছিল। ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে তা শুরু হয়।

এদিনের কর্মশালায় পৌরহিত্য করেন কলেজের অধ্যক্ষ ড.অনুপম গুহ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিলোনীয়া রেশম চাষ ক্লাস্টারের ডেভেলপমেন্ট অফিসার অজিত পাটারি এবং জলেফা রেশম শিল্প সম্প্রসারণ কেন্দ্রের সহকারী প্রদর্শক তাপস ত্রিপুরা।

অজিত পাটারি রেশম চাষ পদ্ধতি ও ভবিষ্যৎ গুরুত্ব নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, সেরিকালচার বা রেশম চাষ একটি কৃষিভিত্তিক লাভজনক ব্যবসা। তিনি হাতে-কলমে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সামনে রেশম চাষের জন্য করণীয় বিষয়বস্তু তুলে ধরেন এবং চাষে মনোনিবেশ করার আবেদন করেন।

অধ্যক্ষ ড. অনুপম গুহ বলেন, রেশম চাষ বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে এবং গ্রামীণ অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার আবেদন করেন। তিনি বলেন, আমাদের কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি মাশরুম চাষ, আগর ভিত্তিক বনজ সম্পদ, ভার্মিকম্পোস্টিং ইত্যাদি বিষয়েও বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে যা তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

এদিকে, কর্মশালার স্বাগত ভাষণ ও ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. দীপঙ্কর দেব ও অধ্যাপক অরূপ পাটারি। কর্মশালায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ ও উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। সমবেত জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে কর্মশালার সমাপ্তি হয়।

হিন্দুস্থান সমাচার / সুভাষ




 

 rajesh pande