ত্রিপুরা : অগ্নিদগ্ধের ১৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু গৃহবধূর
আগরতলা, ২ মে (হি.স.) : অগ্নিদগ্ধে হয়ে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে৷
ত্রিপুরা : অগ্নিদগ্ধের ১৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু গৃহবধূর


আগরতলা, ২ মে (হি.স.) : অগ্নিদগ্ধে হয়ে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে৷ প্রায় ১৫ দিন যাবৎ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই গৃহবধূ৷ ঘটনা ধলাই জেলার আমবাসায়৷ মৃতার বাপের বাড়ি আগরতলার আড়ালিয়ার সুভাষপল্লি এলাকায়৷ বৃহস্পতিবার জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পূজা দাস নামের ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে৷ মৃত্যুর পর মৃতার বাবা দীপক দাস অভিযোগ করেছেন, মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে৷ এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন৷ আইন অনুযায়ী যা হবার তা–ই হবে৷

মৃতার শাশুড়ি জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ নিজের বাড়িতেই অগ্নিদগ্ধ হন পূজা দাস৷ তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না৷ শুধু তা–ই নয় গৃহবধূর স্বামী প্রলয় দেবনাথ বাড়িতে ছিলেন না৷ গৃহবধূর জা শুধু বাড়িতে ছিলেন৷ অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে শাশুড়ি ও স্বামী বাড়িতে আসনে৷ প্রতিবেশীদর সাহায্য নিয়ে কুলাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পূজাকে৷ সেখান থেকে জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল৷

এদিকে, মৃতার বাবা দীপক দাস অভিযোগ করেছেন, ১৬ এপ্রিল মেয়েকে আগরতলা রেল স্টেশন থেকে আমবাসার উদ্দেশ্যে ট্রেনে পাঠিয়েছিলেন৷ সন্ধ্যা আটটা নাগাদ তাকে ফোন করে জানানো হয় মেয়েকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ কেন, কী কারণে মেয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি কোনও কিছুই বলতে পারছেন না৷ তবে তিনি আশংকা করছেন, মেয়ের সাথে স্বামী ও শাশুড়ির মনোমালিন্য চলছিল৷ মেয়েকে বাপের বাড়িতে আসতে মানা করা হয়েছিল৷ হয়তো এনিয়ে কোনও ধরনের ঝগড়াঝাটি হয়েছে৷ যদিও এর আগে একবার পারিবারিক ঝামেলা হয়েছিল৷ তখন গৃহবধূর বাবা গিয়ে ঘটনা মিটমাট করে দিয়েছিলেন৷

জানা গিয়েছে, গৃহবধূ পূজা দাসের একটি সন্তান রয়েছে৷ প্রায় পাঁচ বছর আগে পূজার বিয়ে হয়েছিল প্রলয়ের সাথে৷ দুজনের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল৷ পুূজার বয়স তখন ষোলো বছর ছিল৷ নাবালিকা অবস্থাতেই তাকে সামাজিকভাবে বিয়ে দিয়েছিলেন অভিভাবকরা৷ ধারণা করা হচ্ছে, অপরিণত বয়সে বিয়ে ও সন্তান প্রসব করার ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে নানা সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল পূজা৷ এতেই এই ভয়ংকর পরিণতি৷

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ




 

 rajesh pande