ঝড়বৃষ্টিতে স্বস্তির সঙ্গে এলো অস্বস্তি এবং ঝামেলাও
কলকাতা, ৬ মে (হি.স.): কোথাও মাঝারী, কোথাও আবার ভারী। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাত। টানা অসহ্য গরমের
ঝড়বৃষ্টিতে স্বস্তির সঙ্গে এলো অস্বস্তি এবং ঝামেলাও


কলকাতা, ৬ মে (হি.স.): কোথাও মাঝারী, কোথাও আবার ভারী। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাত। টানা অসহ্য গরমের পর সোমবার সন্ধ্যায় এই অবস্থায় স্বস্তির সঙ্গে এলো অস্বস্তি এবং ঝামেলাও।

নদিয়ায় ঝড়ের সময় ধুলোয় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ব্যাহত হয় যান চলাচল। ঝড়ের গতিবেগ এতটাই তীব্র ছিল যে আচমকাই নদিয়ার নবদ্বীপ থানার অন্তর্গত ভালুকা, চর ব্রহ্মনগর, রোড স্টেশন, চাপড়া, আন্দুলিয়া এবং কৃষ্ণনগর এলাকায় ভেঙে পড়ে গাছ। কিছু গাছ ভেঙে পড়ে বৈদ্যুতিক তারের উপর। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়ি।

গাছ পড়ে থাকার কারণে নবদ্বীপ-কৃষ্ণনগর ও করিমপুর-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কে বেশ কিছু ক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় রাস্তা থেকে সরানো হয় গাছের গুঁড়ি। বিদ্যুতের তার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় বিপদের আশঙ্কা করতে থাকেন স্থানীয়েরা। ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই কাজ শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা।

সোমবার সন্ধেয় স্বস্তির বৃষ্টি নামে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। সকাল থেকেই আজ আকাশ মেঘলা ছিল। দিনভর গুমোট গরম ভুগিয়েছে। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতাও ছিল বেশি। সন্ধে নামতেই ঠান্ডা-গরম বাতাসের ঠেলাঠেলিতে বৃষ্টি নামল শহরে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত বিকেলের ওয়েদার বুলেটিনেই বলছিলেন, সন্ধের মধ্যে ঝড়বৃষ্টির আসার সম্ভাবনা আছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তুমুল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে ঝাড়খণ্ডে। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা চলে গেছে। এর ফল প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়। এর জেরেই বৃষ্টি হবে। তাপপ্রবাহ থেকে আপাতত মুক্তি পাবে শহরবাসী। হলও তাই।

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande