প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
কলকাতা, ৭ মে (হি.স.) : এসএসসি নিয়োগ মামলায় ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল-সহ অন্যান্য রায় নিয়ে মঙ্গলবার দিন
প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট


কলকাতা, ৭ মে (হি.স.) : এসএসসি নিয়োগ মামলায় ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল-সহ অন্যান্য রায় নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। নিয়োগ বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এ ছাড়াও, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করার যে আর্জি চাকরিহারাদের আইনজীবী আদালতে করেন, তাতেও মিলল না মান্যতা।

গত সপ্তাহে এই মামলায় শীর্ষ আদালত মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। কিন্তু চাকরি বাতিল নিয়ে আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি। প্রধান বিচারপতি যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অন্য দিকে, যোগ্যদের তালিকা সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হবে বলে শুক্রবার জানায় এসএসসি। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্য।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে এ দিন চলে শুনানি। বাকি দুই বিচারপতির নাম জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্র। বিচারপতি পারদিওয়ালা জানান, ‘‘যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ’’

চাকরিহারাদের আইনজীবী আদালতকে এ দিন বলেন, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা উচিত। কারণ তিনি ইন্টারভিউতে বলেছেন, তাঁকে রাজনীতিতে নামার জন্য আহ্বান করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হোক।

জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা মনে হয় মামলার মূল বিষয়ে ফোকাস করা উচিত।দিনের প্রথমার্দ্ধে সরকারপক্ষের আইনজীবীর বিশদ ব্যখ্যা শোনার পর দ্বিতীয়ার্দ্ধে প্রধান বিচারপতি বলেন, এ বারে বিপরীত পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। সওয়াল করতে শুরু করেন নিয়োগ দুর্নীতির মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘টাকার বিনিময়ে বাজারে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে।’’

প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ওএমআর শিট নিয়ে আপনার অবস্থান কী? বিকাশবাবু বলেন, নাইসা নামক সংস্থা আজকে উঠে গিয়েছে। ওই সংস্থাকে মূল্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই সেখান থেকে যে ওএমআর উদ্ধার করেছিল এসএসসি তা গ্রহণ করে। ২৩হাজার ১২৩ চাকরির সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তা হলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল চাইছেন কেন? বিকাশবাবুর জবাব, কারণ এটা একটা বিরাট দুর্নীতি হয়েছে। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধ।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা বিবেচনা করব। তার আগে আমরা কোনও শর্ত ছাড়া স্থগিতাদেশ দিতে আগ্রহী নয়।’’

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande