ত্রিপুরায় পেট্রোল–ডিজেলে রেশনিং অব্যাহত, পাম্পগুলিতে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন, কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে নীরব প্রশাসন
আগরতলা, ৮ মে (হি.স.) : ত্রিপুরায় পেট্রোল ও ডিজেলের সংকট ক্রমেই বাড়ছে৷ রাজধানী আগরতলা শহরের সিংহভাগ প
Petrol-Diesel Pump_Represantational image


আগরতলা, ৮ মে (হি.স.) : ত্রিপুরায় পেট্রোল ও ডিজেলের সংকট ক্রমেই বাড়ছে৷ রাজধানী আগরতলা শহরের সিংহভাগ পাম্পে পেট্রোল–ডিজেল নেই–এর সাইনবোর্ড ঝুলে আছে৷ যে কয়েকটি পাম্পে জ্বালানি তেল দেওয়া হচ্ছে আজ বুধবার সেগুলিতেও দীর্ঘ লাইন পড়েছে৷

আগরতলার গণরাজ চৌমুহনি এবং চন্দ্রপুর এলাকার দুটি পাম্পে আজ ভোর থেকেই হাজার হাজার যানবাহনের দীর্ঘ লাইন৷ দেড়-দুই কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লাইন দেখা যাচ্ছে৷ রেশনিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে৷ তাই দ্বিচক্র যানে ২০০ টাকা এবং ছোট গাড়িতে ৫০০ টাকার পেট্রোল দেওয়া হচ্ছে৷

এদিকে জানা গিয়েছে অসমের পাহাড় লাইনে রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে৷ অধিকাংশ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করলেও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ। পাহাড় লাইন পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে৷ তাই ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেলে রেশনিং ব্যবস্থা আপাতত প্রত্যাহার করা হচ্ছে না৷ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়৷

অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গিয়েছে পাম্পে তেল পাওয়া না গেলেও খোলাবাজারে পেট্রোল ডিজেল পাওয়া যাচ্ছে৷ স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, পাম্পে জ্বালানি তেল আসার পর কোনও না–কোনও ভাবে পেট্রোল–ডিজেল কালোবাজারিদের হাতে চলে যাচ্ছে৷ রাজধানী আগরতলা শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় কালোবাজারিরা ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় এক লিটার পেট্রোল বিক্রি করছে৷ খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের তরফ থেকে তেমন কোনও নজরদারি নেই বলেই কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য৷

যানবাহন মালিক ও চালকদের দাবি, প্রশাসনের তরফ থেকে যেহেতু রেশনিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে, তাই প্রশাসনকেই দায়িত্ব নিয়ে কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে৷

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ




 

 rajesh pande