অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন স্নেহা-সোহা, দুপুর থেকেই ভিড় চুঁচুড়ায় তাঁদের বাড়িতে
হুগলি, ৮ মে (হি.স.) : বয়সের তফাৎ মাত্র এক মিনিট। দুই বোনই রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম ১০-
অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন স্নেহা-সোহা, দুপুর থেকেই ভিড় চুঁচুড়ায় তাঁদের বাড়িতে


হুগলি, ৮ মে (হি.স.) : বয়সের তফাৎ মাত্র এক মিনিট। দুই বোনই রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম ১০-এর তালিকায়। ছোট বোন স্নেহা ঘোষ চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন। মেয়েদের পরীক্ষার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। বড় বোন সোহা ঘোষ হয়েছেন দশম। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮১।

অভিনন্দন ও শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন স্নেহা-সোহা। বুধবার দুপুর থেকেই ভিড় চুঁচুড়ায় তাঁদের বাড়িতে। দু’জনেই চন্দননগর কৃষ্ণ ভাবিনী নারীশিক্ষা মন্দির স্কুলের ছাত্রী। অর্থনীতি নিয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে চায় দুই বোনই। দুই মেয়ের সাফল্যে খুশির জোয়ার চুঁচুড়ার গরবাটি ষষ্টিতলায় তাঁদের বাড়িতে।

বাবা সঞ্জীব ঘোষ গুজরাতে কর্মরত। মা অন্নপূর্ণা ঘোষ একজন গৃহবধূ। দুই যমজ সন্তানের সাফল্যে উচ্ছ্বাসিত পরিবার। স্নেহা জানান, ‘প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি এত ভাল ফল হবে। পড়াশোনার জন্য কোনও নির্দিষ্ট বাঁধাধরা সময় ছিল না, যতক্ষণ ভাল লাগতো ততক্ষণই পড়াশোনা করতাম। সব থেকে বেশি ভাল লাগতো অঙ্ক করতে।

স্নেহার কথায়, টেস্টের আগে চেষ্টা করেছিলাম সিলেবাস শেষ করার। আগামী দিনে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। ইচ্ছে ছিল মাধ্যমিকে ভাল ফল করার। কিন্তু টিভিতে নাম না শোনায় ভেঙে পড়েছিলাম। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল হওয়ায় এখন অনেকটাই ভাল লাগছে।’

অন্যদিকে সোহা বলেন, ‘বোনের নাম শোনার পরেই খুব আনন্দ লাগছিল। আমারও ইচ্ছে অর্থনীতি নিয়ে পড়ার। পড়াশোনায় কোনও অসুবিধা হলে দু’জনেই দু’জনকে সাহায্য করতাম।’

মা অপর্ণা ঘোষ জানান, দুই মেয়ের সাফল্যে খুব আনন্দ লাগছে। দুই মেয়ে দশের মধ্যে জায়গা করে নেবে সেটা ভাবতে পারিনি। মাধ্যমিকের সময় মেয়ের ঠাকুমা আশা করেছিলেন টিভিতে তাদের নাম বলবে কিন্তু নাম না বলায় আশাহত হয়েছিলেন আজ তিনি বেঁচে নেই । তিনি থাকলে আরও ভাল হতো।

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande