জুুন মালিয়ার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে অভিযোগ বিজেপির
পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ মে, (হি.স.): মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী জুুন মালিয়ার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে উঠল বিস
জুুন মালিয়ার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে অভিযোগ বিজেপির


পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ মে, (হি.স.): মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী জুুন মালিয়ার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। বিজেপির বক্তব্য, মিথ্যা রিপোর্ট কার্ড পেশ করেছেন জুন মালিয়া।

মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক জুন মালিয়ার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে কাটাছেঁড়া বিশ্লেষণ শুরু করেছে বিজেপি। সেখান থেকে বিজেপির বক্তব্য, মিথ্যা রিপোর্ট কার্ড মানুষের কাছে দেখানো হচ্ছে। সেখানে দেওয়া সংখ্যাতত্ত্বে গড়মিল রয়েছে।

গত তিন বছর ধরে মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক জুন মালিয়া। গত তিন বছরে তিনি তাঁর বিধানসভা এলাকায় কী কাজ করতে পেরেছেন, তার একটা হিসাব তুলে ধরেছেন এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নেতৃত্বকে পাশে বসিয়ে রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছেন।

পৌরসভার ২৫ টি ওয়ার্ড ও দুটি ব্লক নিয়ে মেদিনীপুর বিধানসভা। আর সেই বিধানসভা এলাকাতে গত তিন বছরে তিনি কী কী কাজ করেছেন, তার হিসাব তুলে ধরেছেন একটি পুস্তিকা আকারে। আর সেখানে প্রায় ১৫ কোটির বেশি হিসাব দেখানো হয়েছে, যা মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকায় কাজ করা হয়েছে।

এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা মুখপাত্র অরূপ দাসের অভিযোগ, একজন বিধায়ক গত তিন বছরে কত কোটি টাকা পান সরকারিভাবে? নিয়ম অনুযায়ী, তিনি পাবেন তিন বছরে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা, কীভাবে বিধায়ক গত তিন বছরে প্রায় ১৫ কোটি টাকারও বেশি হিসাব দেখাচ্ছেন তিনি।

অভিযোগ, যে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে নিজের প্রকল্প হিসাবে দেখাচ্ছেন জুন। আর নতুবা অন্য কোন প্রকল্পের টাকা যেখানে খরচ হয়েছে সাধারণ মানুষের স্বার্থে, সেই প্রকল্পের টাকাকেও তিনি নিজের তহবিলের টাকার খরচ হিসাবে দেখাচ্ছেন। বিজেপির অরূপ দাসের অভিযোগ, ভুল রিপোর্ট কার্ড তৈরি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

বিজেপির অরূপ দাসের আরও অভিযোগ, মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকায় যে সমস্ত জায়গায় সরকারি কাজ যা এমকেডিএ বা মেদিনীপুর পৌরসভা, পঞ্চায়েত দফতরের কাজ, সেগুলিও জুন নিজের তহবিলের কাজ বলেই দেখিয়েছেন।

বিজেপির এই অভিযোগ নিয়ে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তীর দাবি, “বিজেপি শুধু অভিযোগই করতে জানে। তারা কাজ করতে জানেনা । আমাদের সৎ সাহস রয়েছে, তাই আমরা রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছি। বিধায়ক তাঁর তত্ত্বাবধানে এ সমস্ত কাজ করিয়েছেন তারই হিসাব দিয়েছেন।”

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande