একই দিনে জনসভা মোদী ও মমতার, সাজ সাজ রব ব্যারাকপুরে
উত্তর ২৪ পরগনা, ৯ মে, (হি.স.): ব্যারাকপুরে রবিবার একই দিনে জনসভা করতে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন
একই দিনে জনসভা মোদী ও মমতার, সাজ সাজ রব ব্যারাকপুরে


উত্তর ২৪ পরগনা, ৯ মে, (হি.স.): ব্যারাকপুরে রবিবার একই দিনে জনসভা করতে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দুই সমাবেশের আগেই সাজ সাজ রব ব্যারাকপুর লোকসভায়।

রবিবার সকাল ১১টায় জগদ্দলে জনসভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহর হয়ে প্রচার সভা করবেন তিনি। আর সেই সভার পরে দুপুর ২ টোয় মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন নোয়াপাড়া বিধানসভার অন্তর্গত পলতার শান্তিনগর মাঠে। ব্যারাকপুর লোকসভায় ভোটের আগে শেষ

রবিবারে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে সব পক্ষই। তাই পরিকল্পনামাফিক প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার কৌশল নিয়েছে দুই রাজনৈতিক শিবির। তবে প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র জগদ্দলেই জনসভা করবেন। আর রবিবার নোয়াপাড়ার পর মুখ্যমন্ত্রী সোমবার দিনও সভা করবেন ব্যারাকপুর লোকসভা এলাকায়। সেটি হবে আমডাঙা বিধানসভা এলাকায়। প্রসঙ্গত, ব্যারাকপুর লোকসভার অধীন আমডাঙা সংখ্যালঘু ভোটের আধিক্যের কারণেই তৃণমূলের কাছে অনেক বেশি নিরাপদ। আর বিজেপি প্রার্থী অর্জুনের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ভাটপাড়া লাগোয়া জগদ্দলেও তাঁর প্রভাব রয়েছে।

ব্যারাকপুর লোকসভা আসনে দুই রাজনৈতিক শিবিরের কাছেই সম্মানের বিষয়। কারণ, ২০১৯ সালে বিজেপির হয়ে জিতলেও ২০২২ সালের মে মাসে দলবদল করে অর্জুন নিজের পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে যান। কিন্তু ১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ থেকে তৃণমূলের যে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হয়েছিল তাতে নাম ছিল না অর্জুনের। বদলে ওই আসনে প্রার্থী করা হয় নৈহাটির বিধায়ক তথা সেচমন্ত্রী পার্থকে। তার পর আবারও বিজেপিতে ফিরে গিয়ে ব্যারাকপুরে পদ্মশিবিরের প্রার্থী হয়েছেন অর্জুন। তাই ২০১৯ সালে দীনেশ ত্রিবেদীর সঙ্গে অর্জুনের লড়াইয়ের চেয়ে পার্থের সঙ্গে তাঁর লড়াই আরও আকর্ষণীয় হতে চলেছে বলেই মত ব্যারাকপুরবাসীর।

আগামী ২০ মে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। এই লোকসভা আসনটি ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি, অন্য দিকে উত্তর ২৪ পরগনা শিল্পাঞ্চলে ফের জোড়াফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল। সেই আবহেই বিজেপি তৃণমূল দু’পক্ষই নিজ নিজ ভোটব্যাঙ্কে শান দিতে ভোটের আগের শেষ রবিবারটিকে ব্যবহার করতে চাইছে।

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande