পুলিশি সহায়তা না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ টেলি অভিনেত্রী অনুমিতা
হাওড়া, ৯ মে, (হি.স.): ডোমজুড়ে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে পুলিশি সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন টেলি অভিনেত্
পুলিশি সহায়তা না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ টেলি অভিনেত্রী অনুমিতা


হাওড়া, ৯ মে, (হি.স.): ডোমজুড়ে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে পুলিশি সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন টেলি অভিনেত্রী অনুমিতা দত্ত। ‘সাথী’ সিরিয়ালের এই নায়িকা বৃষ্টির চরিত্রে দর্শকদের কাছে পরিচিত। তিনি পুলিশের সহায়তা না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। মামলার শুনানি সোমবার।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হাওড়ার ডোমজুড়ে মাকে নিয়ে গাড়ি করে দিদির বাড়ি যাচ্ছিলেন অনুমিতা। ডোমজুড়ে একটি দোকানের সামনে গাড়ি রাখা নিয়ে আপত্তি তৈরি হয়। সেখান থেকেই জলঘোলা। অভিযোগ, দোকানদার অভিনেত্রীকে দোকানের সামনে গাড়ি রাখতে বাধা দেন। তাতে আবার পাল্টা আপত্তি জানান অনুমিতা। তাঁর বক্তব্য, নো পার্কিং জোন লেখা নেই। দোকানে ভিড়ও নেই। তাহলে তিনি কেন গাড়ি সরাবেন।

এই নিয়ে যখন বাক-বিতণ্ডা চলছে অভিযোগ সেই সময় কয়েকজন লোক এসে হামলা চালায়। অভিনেত্রীর মা-কে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ফেলে। অনুমিতাকেও মারধর করার অভিযোগ ওঠে। জখম হন অভিনেত্রী ও তাঁর মা।

অভিনেত্রী বলেন, “আমার মা-বাবা দাঁড়িয়ে মোগলাই কিনছিল। দোকানদার বলল একটু দূরে পার্ক করুন। এরপর অন্য একজন দোকানদার খুব অসভ্য স্বরে জানান ওখানে গাড়ি রাখা যাবে না। আমি বললাম পাঁচ মিনিটে চলে যাব। ওরা কোনও কথা শুনলেন না। আমি বললাম এই ভাবে অসভ্যের মতো কথা বলবেন না।

সেই সময় আমার ড্রাইভার গাড়িতেই ছিলেন। তিনি ঝামেলা এড়াতে অন্য জায়গায় সরিয়ে দেন। দুর্জয় কোলে নামে এক ব্যক্তি বলেন এখানেও গাড়ি রাখা যাবে না। আমার মা কিন্তু এইসব নিয়ে কিছুই জানেন না। তিনি ড্রাইভারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় মা বলছিলেন এটা তো নো পার্কিং এলাকা নয়। আর ভিড় ও নেই। হাজার-হাজার খদ্দের নেই। আমার মাকে ওরা গালিগালাজ করল। তারপর গাড়িতে মারল দুর্জয়। আমার মা ওকে বলতেই বলল তোকে চুলের মুঠি ধরে মারব। তারপর আমরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিই। আমার হাতে এসেও মেরেছে।”

হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থানায় গেলে তাঁদের মৌখিক ভাবে জানিয়ে এফআইআর দায়ের করা হয়। কিন্তু এফআইআর-এর কপি দেওয়া হয়নি বলেও দাবি অনুমিতার।

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande