বাংলাদেশে সন্ত্রাসরাজ কায়েমে ছাত্রদের ঢাল করেছিল জামায়াত-বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী হাসিনা
বাংলাদেশে সন্ত্রাসরাজ কায়েমে ছাত্রদের ঢাল করেছিল জামায়াত-বিএনপি
Italian Ambassador Antonio Alessandro and Prime Minister Sheikh Hasina


Prime Minister Sheikh Hasina in the hospital


।। রাজীব দে ।।

ঢাকা, ১ আগস্ট (হি.স.) : জামায়াত-শিবির ও বিএনপি তাদের সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তারা (জামায়াত-শিবির ও বিএনপি) ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।’ ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তনিও আলেসান্দ্রো আজ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব নুর এলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করে জানান, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যায় অভ্যস্ত বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ইতালির রাষ্ট্রদূতকে বলেন, তিনি চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। ‘আমরা সকলকে সমানভাবে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছি’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সহ সবকিছুই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক যাচ্ছে। যেহেতু পুরো দেশ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এসেছে, এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেট্রো রেলের ভাঙচুর করা টোল প্লাজার পরিষেবাগুলি পুনরায় চালু করতে কিছুটা সময় লাগছে।

ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সহিংসতাকারীরা বাংলাদেশের আধুনিকায়নের প্রতীকগুলোকে টার্গেট করে হামলা করেছে। জনগণের সম্পদ ধ্বংস এবং জীবনহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। রাষ্ট্রদূত সম্পদ ধ্বংস বা গোটা বিষয়ের যাতে বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়, সে বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। রাষ্ট্রদূত হলি আর্টিজানে হামলার পর সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের পদক্ষেপ ও সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, “সাম্প্রতিক এই ঘটনার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।” সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সামাল দিয়েছেন, ইতালির রাষ্ট্রদূত তারও প্রশংসা করেছেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় দু লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশি এই সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছেন। তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবেন। তাঁর কর্মক্ষেত্রের কেন্দ্রে থাকবে জ্বালানি, এসএমই, মহাকাশ প্রযুক্তি ও জাহাজ নির্মাণ ক্ষেত্র উল্লেখ করে তিনি আইনি অভিবাসন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ইতালির রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে তাঁদের দেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, বিক্ষোভ বা কোনো ক্র্যাকডাউন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ক্ষেত্রে ইতালিয়ান পুলিশের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইতালির পুলিশ ধাপে ধাপে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এ বিষয়ে তাঁরা বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে চান।

প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আগামী দিনে এ বিষয়ে আরও আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাস্যাডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্যসচিব মোহম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়াঁ উপস্থিত ছিলেন বলে জানান প্রদানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস / অরবিন্দ




 

 rajesh pande