নয়াদিল্লি, ১ আগস্ট (হি.স.): পিছিয়ে পড়া শ্রেণীগুলির মধ্যে যারা আরও বেশি প্রান্তিক তাঁদের সংরক্ষণের সুবিধা দিতে রাজ্যগুলি, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের মধ্যে উপগোষ্ঠী তৈরি করতে পারবে। এমনটাই পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের। এবার থেকে তপশিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্তদের মধ্যে শ্রেণিবিন্যাস করা যাবে। আর সেই বিন্যাসের উপর ভিত্তি করেই সাজানো যেতে পারে সংরক্ষণ ব্যবস্থা। এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত রায়ে এও বলেছে, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের মধ্যে থেকে অনগ্রসরদের আলাদা করা যাবে। শ্রেণির মধ্যে উপশ্রেণি তৈরি করতে পারবে রাজ্যগুলি। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দেয়। এই রায় প্রসঙ্গে ছয় বিচারপতি এক মত হলেও ভিন্ন মত প্রকাশ করেন বিচারপতি বেলা ত্রিদেবী।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার ৬-১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জানিয়েছেন, পৃথক সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য তপশীলি জাতি ও উপজাতিগুলির উপগোষ্ঠীগত বিভাজন অনুমোদনযোগ্য। এই রায়ের সঙ্গে সহমত হননি বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। তপশিলিভুক্ত শ্রেণীগুলির মধ্যে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে উপগোষ্ঠী তৈরীর কোনও ক্ষমতা রাজ্য সরকারগুলির নেই বলে শীর্ষ আদালতের ২০০৪-এর রায় বেঞ্চ এদিন খারিজ করে দেয়।
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, সংরক্ষণ গুণমানের বিরুদ্ধে নয়। পদ্ধতিগত যে বৈষম্যের মুখোমুখি হন তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মানুষ, তাতে উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে বেশীরভাগ সময়েই তাঁরা ওপরে উঠতে পারেন না। অনগ্রসর শ্রেণীর মধ্যে উপগোষ্ঠীগত বিভাজন, সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় পরিপন্থী নয় বলেও শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, রাজ্যগুলি এক্ষেত্রে ইচ্ছে মতো অথবা রাজনৈতিক তাগিদে কোনও কাজ করতে পারবে না। তাদের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করতে পারবে বিচার বিভাগ।
হিন্দুস্থান সমাচার / রাকেশ / সোনালি