জম্মু ও শ্রীনগর, ১৮ সেপ্টেম্বর (হি.স.): ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির পর প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে উপত্যকার মানুষ স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল, বুলেট নয় ব্যালটেই ভরসা রাখছেন তাঁরা। এমনকী যে অঞ্চলগুলি জঙ্গি তৎপরতার জন্য কুখ্যাত, সেখানেও খোলা মনে গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হলেন ভূস্বর্গবাসী।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনে ভালোই সাড়া মিলেছে সাধারণ মানুষের। বুধবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, মাত্র দুই ঘণ্টায় সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ১১.১১ শতাংশ। বেলা এগারোটা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ২৬.৭২ শতাংশ। দুপুর একটা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ৪১.১৭ শতাংশ। দুপুর তিনটে পর্যন্ত ভোটের শতাংশ ছিল ৫০.৬৫। আর বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটের হার ৫৮.১৯ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন থেকে এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
বুধবার প্রথম দফার ২৪ আসনে ভোটগ্রহণ হয়। এক দশক পরে জম্মু ও কাশ্মীরে আবারও বিধানসভা ভোট হচ্ছে। তবে ২০১৪-র মতো পূর্ণ রাজ্য নয়, ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে বিশেষ মর্যাদা খোয়ানোর পাশাপাশি রাজ্যের তকমাও হারিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। ফলে এই বিগত ১০ বছরে অনেক কিছু পাল্টে গিয়েছে উপত্যকার রাজনীতিতে। প্রথম পর্বের নির্বাচনে দক্ষিণ কাশ্মীরের চার জেলা— পুলওয়ামা, কুলগাম, অনন্তনাগ ও শোপিয়ানের ১৬টি এবং জম্মুর চন্দ্রভাগা উপত্যকার জেলা— ডোডা, কিশতওয়ার ও রামবানের আটটি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ভোটারদের মধ্যেও যথেষ্ট উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে, ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বুথের সামনে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে তিন দফায় ভোটগ্রহণ। বুধবার ছিল প্রথম দফা। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ২৬ আসনে এবং ১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় তথা শেষ দফায় ৪০ আসনে ভোটগ্রহণ হবে জম্মু ও কাশ্মীরে। ভোটগণনা আগামী ৮ অক্টোবর।
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ
