আগরতলা, ৮ জানুয়ারি (হি.স.) : ত্রিপুরার প্রত্যন্ত জনপদগুলিতে পরিশ্রুত পানীয়জল পৌঁছানো সুনিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন। বুধবার চিফ মিনিস্টার ওয়ার রুমে জল জীবন মিশন রূপায়ণে রাজ্যের অগ্রগতি নিয়ে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন।
তিনি বলেন, জল অপচয় রোধে জনসচেতনতার উপরও বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। আয়রন রিম্যুভাল প্ল্যান্ট বসানোর পাশাপাশি তার রক্ষণাবেক্ষণের উপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ে পানীয়জল সরবরাহ প্রকল্পগুলি চালু করার ক্ষেত্রে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের সম্ভাব্য দিকগুলি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তর এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা প্রয়োজন। পানীয়জল প্রকল্পগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও সারাইয়ের ক্ষেত্রে দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পর্যালোচনা সভায় পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং জল জীবন মিশন রূপায়ণে রাজ্যের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, জল জীবন মিশন চালু হওয়ার পূর্বে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় ২৪ হাজার ৫০২টি পরিবারে নলবাহিত পানীয়জলের সংযোগ ছিল। শতাংশের নিরিখে তা ছিল ৩.২৬ শতাংশ। জল জীবন মিশন চালু হওয়ার পর থেকে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার ৬ লক্ষ ১২ হাজার ১৯২টি পরিবারে নলবাহিত পানীয়জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সভায় মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ডঃ পি কে চক্রবর্তী, পঞ্চায়েত দপ্তরের অধিকর্তা প্রসূন দে, ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার স্বপন দেববর্মা, পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের ৪টি সার্কেলের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, ট্রেডার প্রতিনিধি, ওয়াটার কোয়ালিটি বিশেষজ্ঞ, প্রাক্তন অধ্যাপক অরুণাভ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / Subhash Chandra Das