পানিসাগর (ত্রিপুরা), ১২ অক্টোবর (হি.স.) : উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগরের পদ্মবিল গ্রামে ১৪ মাসের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন। শিশুকন্যার মৃতদেহ জমিতে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনার পর পালিয়ে যায়। রবিবার দুপুরে অসমের নিলামবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। মৃত শিশুর মায়ের অভিযোগ শিশুকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে।
মৃত শিশুর মা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় তাঁদের প্রতিবেশী জয়নাল উদ্দিন বাড়িতে আসে। তখন শিশুটিকে ঘুমপাড়াচ্ছিলেন তিনি। ওই ব্যক্তি সম্পর্কে মহিলার মামা। শিশুটিকে তিনি তাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে চায়। আগেও তিনি নিয়ে গিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই শিশুটিকে দিয়ে দেয়। দীর্ঘ সময় পর শিশুকে বাড়িতে দিয়ে না আসায় ওই ব্যক্তির বাড়িতে যায় শিশুটির মা। গিয়ে দেখে শিশু এবং ওই ব্যক্তি বাড়িতে নেই। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও কোন হদিস পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি পানিসাগর থানায় জানানো হয়।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, থানায় অভিযোগ করার সাথে সাথেই পুলিশের একটি টিম গ্রামে পৌঁছে এবং স্থানীয়দের সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করা হয়। কিন্তু শিশু ও ব্যক্তি কারোরই হদিস পাওয়া যায়নি। পরে গভীর রাতে পানিসাগর থানার ওসি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। শিশুর বাড়ি থেকে প্রায় দেড়শ মিটার দূরে একটি জমিতে কাদামাটির নিচে পুঁতে রাখা হয় শিশুর মৃতদেহ।
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। সাথে ফরেন্সিক টিমকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়। যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। রাতেই একটি মামলা রুজু হয় পানিসাগর থানায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে তৎপর হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর শুরু করা হয়। অবশেষে রবিবার দুপুরে অসমের নিলামবাজার থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশবিক এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ