স্থানীয়দের বাধায় মাথাভাঙ্গার গ্রাম থেকে বিদায় নিলেন দুই বিএলও
মাথাভাঙ্গা, ৪ নভেম্বর (হি. স.) : কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা ১ ব্লকের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাংকোবা গ্রামে এসআইআর বা ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হতেই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দুই বিএলও। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে এদিন দুই বিএলও নির্ধারিত সময়ে গ্রাম
স্থানীয়দের বাধায় মাথাভাঙ্গার গ্রাম থেকে বিদায় নিলেন দুই বিএলও


মাথাভাঙ্গা, ৪ নভেম্বর (হি. স.) : কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা ১ ব্লকের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাংকোবা গ্রামে এসআইআর বা ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হতেই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দুই বিএলও। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে এদিন দুই বিএলও নির্ধারিত সময়ে গ্রামে পৌঁছতেই তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। ফলে ব্যাহত হয় এসআইআর-এর কাজ।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে বাংলায় শুরু হয়েছে এসআইআর বা ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। সেই সূত্রেই মাথাভাঙ্গা ১ ব্লকের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাংকোবা গ্রামে এদিন সকালে পৌঁছেছিলেন বিএলও মামনি খাতুন ও আর্জুমান খাতুন। তাঁদের দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ে দুই বিএলও কাজ না করে ফিরে যান।

গ্রামবাসীদের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় গ্রামের দুটি বুথে ৮৪৬ জন ভোটারের নাম থাকলেও বর্তমান তালিকায় রয়েছে মাত্র ৪২১ জনের নাম। নাম বাদ পড়া ভোটারদের তালিকা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। যতদিন তাঁদের দাবি পূরণ না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত যতবার বিএলও-রা গ্রামে আসবেন, বারবার তাঁদের কাজে বাধা দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান বলেন, ‘২০০২ সালে আমরা ভোট দিয়েছি, অথচ এখন আমাদের নাম ভোটার তালিকায় নেই। তিন মাস আগে বিষয়টি জানিয়ে প্রশাসনকে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম। তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ৪ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ তালিকা নিয়ে কাজ শুরু হবে। কিন্তু আজ আবার অসম্পূর্ণ তালিকা নিয়েই এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করতে এসেছে প্রশাসন।’

স্থানীয়দের আরও দাবি, ‘এর আগে দু’বার পথ অবরোধ করেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও সুরাহা মেলেনি। তাই এবার পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। এদিনের অবরোধের জেরে মাথাভাঙ্গা–চ্যাংড়াবান্ধা রোডের দুই প্রান্তে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। বহু যানবাহন মাঝরাস্তায় আটকে পড়ে। বিপাকে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা। দীর্ঘক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও জানা গিয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি




 

 rajesh pande