মিছিলে শৃঙ্খলার বার্তা নিয়ে বেশ কড়া ভাষায় মন্তব্য তৃণমূলনেত্রীর
কলকাতা, ৪ নভেম্বর (হি.স.): যে যত বড় নেতা হও বা মন্ত্রী, আমি পরিষ্কার বলে দিচ্ছি কেউ সামনে আসবেন না টিভিতে মুখ দেখাতে। মঙ্গলবার মিছিল শুরুর আগেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে শৃঙ্খলার বার্তা নিয়ে বেশ কড়া ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ কথা বলতে শোনা যায়। এও বলে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


কলকাতা, ৪ নভেম্বর (হি.স.): যে যত বড় নেতা হও বা মন্ত্রী, আমি পরিষ্কার বলে দিচ্ছি কেউ সামনে আসবেন না টিভিতে মুখ দেখাতে। মঙ্গলবার মিছিল শুরুর আগেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে শৃঙ্খলার বার্তা নিয়ে বেশ কড়া ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ কথা বলতে শোনা যায়। এও বলেন, পেছন থেকে কেউ ধাক্কা দেবেন না। আমি কিন্তু প্রত্যেককে চিনে রাখব!

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার আড়াইটের কিছু পরে, রেড রোডে বি.আর. অম্বেদকরের মূর্তির সামনে থেকে শুরু হল তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল। নেতৃত্বে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সংবিধান হাতে মিছিলের সামনে হাঁটতে দেখা যায় নেত্রীকে।

রানি রাসমণি রোড ধরে কে.সি. দাস মোড় পেরিয়ে মিছিল পৌঁছয় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি— অর্থাৎ অম্বেদকর থেকে রবীন্দ্রনাথ। শাসকদলের বক্তব্য, সংবিধান ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতীক অম্বেদকর এবং বাঙালিয়ানার প্রতীক রবীন্দ্রনাথের নামের সঙ্গে এই মিছিলের শুরু ও শেষ যুক্ত করে তারা বার্তা দিতে চায়— ‘সংবিধান বাঁচাও, গণতন্ত্র রক্ষা করো’।

এসআইআর বিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিলেন ছিলেন দলের নেতা, কর্মীরাও। ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী। এসআইআর ঘোষণার পর রাজ্যে আতঙ্কে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, মৃতদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যও এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন অভিষেক।

মিছিলের সূচনাস্থল ও গন্তব্য নির্বাচনের মধ্যেই তৃণমূলের সাংকেতিক রাজনীতি স্পষ্ট। দলের এক নেতার কথায়, “এই মিছিল শুধু রাজনৈতিক নয়, সাংবিধানিক অধিকার ও বাঙালিয়ানার এক অভিব্যক্তি।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande