
নদীয়া, ৭ নভেম্বর (হি.স.) : ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে আবারও একটি বড় চোরাচালানের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে বিএসএফ জওয়ানরা। নদীয়া জেলায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর যৌথ অভিযানে বঙ্কিম নগর রেলস্টেশনে এক সোনা পাচারকারীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তর কাছ থেকে ২৫১.৭ গ্রাম ওজনের দুটি সোনার টুকরো এবং দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়, যার মোট বাজার মূল্য আনুমানিক ৩০,৩২,৯৮৫ টাকা।
৬ নভেম্বর বিএসএফ সোনা পাচারের বিষয়ে একটি গোপন তথ্য পায়। তথ্যের ভিত্তিতে, বিএসএফ এবং আরপিএফের ১৯৪তম ব্যাটালিয়নের একটি যৌথ দল বঙ্কিম নগর রেলস্টেশনে একটি বিশেষ তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। কর্মীরা স্টেশন চত্বর এবং আশেপাশের দোকানগুলিতে সন্দেহজনক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে।
আনুমানিক বিকাল ৩.১০ মিনিট নাগাদ, গোপন সূত্রে পাওয়া বর্ণনার সঙ্গে মিলে যাওয়া একজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে স্টেশনে আসে। সে তার বাইকটি পার্ক করে প্ল্যাটফর্মের দিকে রওনা দেয়। প্রায় পাঁচ মিনিট পর পার্কিং এরিয়ায় ফিরে আসার পর বিএসএফ এবং আরপিএফ তাকে থামায়। তল্লাশির সময়, দুটি সোনার টুকরো এবং দুটি স্মার্টফোন সহ একটি লাল প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
ধৃত ব্যক্তিকে বাজেয়াপ্ত জিনিসপত্র সহ বর্ডার আউটপোস্ট রামনগর (১৯৪তম ব্যাটালিয়ন, বিএসএফ) এ আনা হয়, যেখানে আরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, অভিযুক্ত ব্যক্তি জানায় যে পুট্টিখালি গ্রামের একজন বাসিন্দা তাকে ফোন করে জানিয়েছিল যে অন্য একজন ব্যক্তি প্যাকেটটি বঙ্কিম নগর স্টেশনে নিয়ে আসবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়েছে, সে নগদ অর্থের বিনিময়ে দুই স্থানীয় স্বর্ণকারের কাছে সোনা পৌঁছে দেবে।
বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক এই সাফল্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তে এবং তাদের এখতিয়ারের মধ্যে চোরাচালানের মতো অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম এবং অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন।
তিনি সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণের কাছে আবেদন করেন যে, সোনা বা অন্য কোনও ধরণের চোরাচালান সম্পর্কিত কোনও তথ্য থাকলে, তারা যেন অবিলম্বে বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭-এ অবহিত করেন। তিনি আশ্বাস দেন যে তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রদানের জন্য উপযুক্ত পুরষ্কার দেওয়া হবে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি