
আগরতলা, ৭ নভেম্বর (হি.স.) : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'বন্দে মাতরম'' সংগীত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তির মন্ত্র হিসেবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। এই ঐতিহাসিক সংগীতের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার মহাকরণে ত্রিপুরা সরকার আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বছরব্যাপী উদযাপনের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। ভারত মাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। মহাকরণের কর্মচারীরা সমবেত কণ্ঠে গেয়ে ওঠেন 'বন্দে মাতরম ' সংগীত, যার মাধ্যমে দেশাত্মবোধে ভরে ওঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “১৮৭৫ সালের অক্ষয় নবমীর দিনে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 'বন্দে মাতরম' সংগীতটি রচনা করেছিলেন। পরে ১৮৯৬ সালে কলকাতায় কংগ্রেস অধিবেশনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গানটি প্রথমবার পরিবেশন করেন। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে এই সংগীতই বিপ্লবীদের লড়াইয়ের মন্ত্র হয়ে উঠেছিল।”
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'বন্দে মাতরম 'সংগীতের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশব্যাপী বছরব্যাপী উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরই আহ্বানে সাড়া দিয়ে গোটা দেশের পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও আজ থেকে এই উদযাপন শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই উদযাপন চারটি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং বছরজুড়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও দেশাত্মবোধক কর্মসূচির মাধ্যমে 'বন্দে মাতরম ' সংগীতের ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ