
হাফলং (অসম), ১১ ডিসেম্বর (হি.স.) : শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোরের জাটিঙ্গা থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার অংশের কাজের আরও একবার খতিয়ে দেখলেন রাজ্যের খনি ও খনিজ বিভাগ এবং বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী কৌশিক রায়।
বৃহস্পতিবার ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোরের কাজ পরিদর্শন করে মন্ত্রী কৌশিক রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে বরাক উপত্যকার সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সর্বদাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে আসছে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১৫ দিন অন্তর অন্তর ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোরের জাটিঙ্গা থেকে হারাঙ্গাজাও অংশের কাজের অগ্রগতি নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (নাহাই)-এর সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করে যথাসময়ে যাতে ওই অংশের সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা যায় সে নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী কৌশিক আশাবাদী, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোরের জাটিঙ্গা থেকে হারাঙ্গাজাও ২৫ কিলোমিটার অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
এদিন মন্ত্রী কৌশিক রায় হাফলঙে আবর্ত ভবনের কনফারেন্স হল-এ জাতিঙ্গা-হারাঙ্গাজাও ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোরের ২৫ কিলোমিটার অংশের নির্মাণকাজের অগ্রগতি এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা সহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করার পাশাপাশি লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিশেষ করে লামডিং-বদরপুর হিল সেকশনের জাতিঙ্গা লামপুর এবং মুপার ধস বিধ্বস্ত এলাকায় বর্ষার মরশুমে যাতে রেল চলাচলে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য আগে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা নিয়ে পর্যালোচনা সভায় রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয় মন্ত্রী কৌশিক রায়ের।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী নন্দিতা গার্লোসা, উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসা, পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য দনপাইনন থাওসেন, ডিমা হাসাওয়ের জেলা কমিশনার মুনীন্দ্রনাথ নাগাতে, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (নাহাই)-এর প্রকল্প অধিকর্তা যোগেশ রাওয়াত, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার সিদ্ধার্থ গুলেরিয়া এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আধিকারিকগণ।
হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব